ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার লইসকা বিলে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষের পর যাত্রীবোঝাই ট্রলারডুবিতে ২৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ট্রলারের মাঝি সোনা মিয়া দিকে আঙুল তুলছেন বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই এবং মাঝির বেপোরোয়া আচারণের এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রী।
তদন্ত কমিটির কাছে বেঁচে যাওয়া আহত যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রলারের মাঝি সোনা মিয়া ট্রলারটি নিয়ে যাত্রা শুরুর আগে থেকেই বেপোরোয়া ছিলেন। তিনি শুরতেই অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করেন। বেপোরোয়াভাবে ট্রলারটি চালানোর সময় বারবার নিষেধ করলেও সে যাত্রীদের কোনো কথা শুনেনি। এ সময় যাত্রীদের সাথে একাধিকবার খারাপ আচারণ করে সেই মাঝি। এ
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝি সোনা মিয়া বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ছতরপুর গ্রামের বাসিন্দা। ট্রলারডুবির পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। তাকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে, গত ২৭ আগস্ট বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লইসকা বিলে যাত্রীবোঝাই ট্রলার ডুবে ২৩ জনের মৃত্যু হয়। ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার দিনই তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা ও ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।
তবে, দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্য মোজাম্মেল হোসেন রেজা। তিনি বলেন, ট্রলারডুবির কারণ নিয়ে তদন্ত কাজ এখনও চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
/এস এন
Leave a reply