যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ঘূর্ণিঝড় আইডার প্রভাবে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে ভূমিধসসহ ভয়াবহ বন্যার কবলে শহরটি। তাই নিরাপত্তার কারণে সেখানে স্টেট অব ইমার্জেন্সি জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে নিউইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাসিও বলেছেন, ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়া বিপর্যয় মোকাবেলা করছে নিউইয়র্ক। বন্যার কারণে এখন রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাই সবাইকেই সাবধানে থাকতে হবে।
এদিকে, বন্যার কারণে নিউ জার্সিতেও স্টেট অব ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি। এছাড়া কেয়ার্নি শহরে একটি ভবনের ছাদ ধসে পড়েছে বলে জানা গেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে, তবে এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
একই পরিস্থিতি লুসিয়ানা রাজ্যেও। অতিবৃষ্টির কারণে সেখানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে কয়েক হাজার মানুষ, এই রাজ্যর নিউ ওরল্যান্স শহরে জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ।
মার্কিন আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার ১ ঘণ্টায় নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক এলাকায় ৮ সেন্টিমিটার বা ৩.১৫ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শহরবাসীকে এই মুহূর্তে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ। বৃষ্টির কারণে রেল যোগাযোগ এবং বিমান চলাচল বন্ধ আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার এই বিরূপ পরিস্থিতির কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন। করোনাকালীন লকডাউন শেষে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো চালু হওয়ার পর থেকেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বেড়েছে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখনই উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে তাপমাত্রার এই ত্রমবর্ধমান বৃদ্ধি চলতেই থাকবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক পরিণতির সম্মুখীন হবে মানবজাতি।
/এস জেড
Leave a reply