কানে তিন আনা ওজনের স্বর্ণের দুল নিয়ে বের হয়েছিল পপি, ফিরলো লাশ হয়ে

সকালে কানের দুল খুলতে গেলে ব্যথা পাবে বলে চলে আসে পিপ, এরপর আর বাড়ী ফিরেনি সে।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে তিন আনা স্বর্ণের দুল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিল পপি সাহা নামের ৭ বছরের এক শিশু। এরপর খোঁজাখুঁজির পর প্রতিবেশীর খাটের নিচে মিলে তার মরদেহ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী এমরান হোসেন ও রুমা আক্তার নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। আটককৃতরা স্বামী-স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় বামনী ইউনিয়নের সাগরদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু একই এলাকার নির্মল সাহার মেয়ে ও সাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্রী।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এমরান ও রুমা আক্তার দম্পতি স্থানীয় নেফাল সাহা বাড়ীর পার্শ্ববর্তী আবুল কাশেমের ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। পাশাপাশি হওয়ায় প্রায় ওই ঘরে যাতায়াত করত শিশু পপি। বরাবরের মতো আজ সকাল ১১ টায় নিজ ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি পপি। পরবর্তীতে ওই দম্পতির ঘরের খাটের নিচে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্বজনরা। এসময় ওই দম্পতিকে আটক করে বেঁধে রাখেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, শিশুর স্বর্ণালংকার নিয়ে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে এমরান ও তার স্ত্রী। তাই তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

নিহত শিশুর মা ববিতা রানী সাহা জানান, পপির কানে তিন আনা ওজনের স্বর্ণের দুল ছিল। সকালে খুলতে গেলে কানে ব্যথা পাবে বলে চলে আসে এরপর আর বাড়ী ফিরেনি সে।

এদিকে রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডই মনে হচ্ছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।