ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
মাদক সংক্রান্ত তথ্য গোপণের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানা পুলিশের ছয়জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্যামল মজুমদার, মনির হোসেন (১), সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফারুক, সালাউদ্দিন ও কনস্টেবল শাহজাহান এবং কাশেম। তবে এই ঘটনার পর কসবা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন।
প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে তাদের বরখাস্ত করা হলেও বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশের সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান।
সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকালে কসবা উপজেলার টি.আলী মোড় থেকে দুটি প্রাইভেটকারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে এসআই শ্যামল ও মনিরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দলটি। তবে তারা মাত্র ৪০ কজি গাঁজা থানায় জমা দিয়ে বাকি গাঁজা থানার পাশের একটি ঝোঁপে লুকিয়ে রাখেন। এ ঘটনার পর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওই ঝোঁপ থেকে গাঁজা উদ্ধার করেন। তবে কি পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে সেটি এখনো জানা যায়নি।
এই ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুহিউদ্দিন জানান, পুলিশের দায়িত্বরত দলটি মঙ্গলবার দিনগত রাতে কসবা উপজেলা সদরের টি আলী মোড়ে দুটি প্রাইভেটকার থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকের চালান (গাঁজা) আটক করে। পরে এই পুলিশ সদস্যরা যোগসাজশ করে আটক মাদকের চালানের বড় একটি অংশ অন্য জায়গায় লুকিয়ে রেখে জব্দ তালিকায় মাদকের পরিমাণ অনেক কম দেখান। পরে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জেলা গোয়েন্দা শাখা উদ্ধার করলে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে আজ বুধবার সকালে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তাদের জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেইনকে প্রধান করে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে। তিনি জানান, তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গাঁজা উদ্ধারের তথ্য গোপণের ঘটনায় তাদের রখাস্ত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো.মিজানুর রহমান জানান ঘটনা যাই হোক তদন্ত চলছে।
Leave a reply