পালাতে গিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ই-অরেঞ্জের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, এটা তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক শাস্তি। বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে।
গুলশান বিভাগ পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোহেল রানা পালিয়ে বিদেশ গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সে তার বোনকে দিয়ে ই-অরেঞ্জ নামের প্রতিষ্ঠান করেছে। যাদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট থেকে সোহেল রানা টাকা তুলে নেওয়ার তথ্যও পেয়েছে পুলিশ।
এসব উল্লেখ করে কমিশনার বরাবর একটি প্রতিবেদন দিয়েছে গুলশান বিভাগ পুলিশ। সেটার ভিত্তিতেই পরিদর্শক সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানাকে আটক করে বিএসএফ। পরবর্তীতে সোহেলকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে বিএসএফ। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সোহেল রানাকে কোচবিহারের আদালতে তোলা হয়। আদালত ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে তাকে।
Leave a reply