স্বামী-সন্তানের সামনেই তালেবানের হাতে খুন হলেন অন্তঃসত্ত্বা পুলিশ কর্মকর্তা

|

তালেবানের হাতে খুন হবার সময় বানু নেগার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

সন্তানসম্ভবা এক আফগান নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে স্বামী-সন্তানের সামনেই গুলি করে হত্যা করেছে তালেবান। জানা গেছে, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। খবর বিবিসির।

আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ফিরোজকোহে পারিবারিক বাসভবনে নারী পুলিশ কর্মকর্তা বানু নেগারকে গুলি করে হত্যা করে হত্যা করেছে তালেবান। তালেবান ক্ষমতায় আরোহনের পর আফগানিস্তানে নারী নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা নিয়ে বিদ্যমান আশঙ্কার মধ্যে এটি নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। বিবিসি এ ব্যাপারে জানতে চাইলেও কোনো সাড়া দেয়নি তালেবান।

নিহতের পরিবারের এক সদস্যের টুইটার পোস্টে দেখা গেছে, বাড়ির একটি ঘরের দেয়ালে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। রক্তাক্ত মরদেহের মুখ ক্ষতবিক্ষত। নিহতের পরিবার আরও জানায়, স্থানীয় একটি কারাগারের দায়িত্বে থাকা বানু নেগার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আচমকা তিনজন বন্দুকধারী গত শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) তাদের বাড়িতে আসে। তারপর বানু নেগারের স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে তাদের সামনেই বানু নেগারকে গুলি করে হত্যা করে তালেবান সদস্যরা।

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর তালেবান তাদের আগের শাসনামলের তুলনায় কিছুটা নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও আফগানিস্তানে নারীদের ওপর নিপীড়নের যেসব ঘটনা ঘটছে, তার সাথে এখনও পর্যন্ত তালেবান প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির কোনো সামঞ্জস্য পাওয়া যাচ্ছে না।

ক্ষমতায় এসেই বিরোধীদের প্রতিহিংসামূলকভাবে খুন করা, অপহরণ ও বন্দি করে রাখাসহ নানা অমানবিক শাস্তি ও মৃত্যুদণ্ড দেয়ার প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানে কর্মরত মানবাধিকার সংস্থাগুলো। যদিও ক্ষমতায় এসেই তালেবান আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply