আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এবারে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদ শক্ত করতে এই উপনির্বাচনে জয় লাভ ছাড়া বিকল্প নেই। তবে মমতার সাথে লড়তে ভবানীপুরে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
এর আগে, মমতার মুখ্যমন্ত্রিত্ব পাকা করতে এই আসন থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এ জয় নিয়ে আছে বিতর্ক। হুমকি ও প্রতারণার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এখনো মামলা চলছে।
তবে ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে কে লড়বে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও শুভেন্দু জানিয়েছেন, দল চাইলে ভবানীপুরেও তিনি মমতার বিরুদ্ধে ভোটের লড়াই করতে প্রস্তুত। তাই প্রশ্ন উঠেছে, আবারও কী মমতার বিরুদ্ধে শুভেন্দু প্রার্থী হবেন?
আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে বসবে বিজেপি। অন্যদিকে, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে তৃণমূল। তাই প্রধান বিরোধী দল যে এখন পিছিয়ে আছে তা স্পষ্ট। মমতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এখন কোনো প্রার্থীই সাহস করে উঠতে পারছেন না।
তবে এখনই এ নির্বাচন চাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার দাবি ছিল, করোনার মধ্যে যেখানে সব কিছুই বন্ধ, সেখানে নির্বাচন কেনো? এর পাল্টা জবাবে তৃণমূল বলছে, বিজেপি এখন জনবিচ্ছিন্ন। হেরে যাওয়ার ভয়েই এসব বলছে। নির্বাচন কমিশন সব জেনেবুঝেই এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে জয়ী হন মমতা। তবে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে শুভেন্দু অধিকারীকের বিরুদ্ধে হেরে যান তিনি। দল জিতে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন মমতা। তবে সংবিধান অনুযায়ী, ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসন থেকে জয় লাভ করতে হবে তাকে। সে অনুযায়ীই ৩০ সেপ্টেম্বরের ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচনে লড়বেন মমতা।
Leave a reply