ইসরায়েলের সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগারগুলোর মধ্যে গিলবোয়া অন্যতম। কারাগারটি ইসরায়েলের জেনিন শহরে অবস্থিত।
অত্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এটিকে ইসরায়েলের সিন্দুক বলা হয়। এ সুরক্ষিত সিন্দুক থেকেই সম্প্রতি পালিয়েছেন ৬ ফিলিস্তিনি কয়েদী। পলাতকদের সন্ধানে ইতোমধ্যে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে গিলবোয়া কারা কর্তৃপক্ষসহ দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
গিলবোয়া কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে সেলের টয়লেটের নিচের সুড়ঙ্গটি খুঁড়ছিলেন ওই কয়েদিরা।
তারা সুড়ঙ্গটি এমনভাবে তৈরি করেছিলেন যেন সেটি দিয়ে কারাগার প্রাচীরের বাইরের রাস্তায় বের হওয়া যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা সুড়ঙ্গ নির্মাণ শেষে সফলভাবে পালিয়েছেনও।
গিলবোয়া কারাগারের নিকটবর্তী ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে কিছু সন্দেহজনক লোককে দৌড়াতে দেখে কর্তৃপক্ষকে সর্বপ্রথম সতর্ক করে স্থানীয় কৃষকরা। তারপরই এ ঘটনার কথা জানা যায়। তার কিছুক্ষণ পর কারা কর্মকর্তারা বন্দীদের গুণে দেখতে পান যে ছয় জন কয়েদিকে পাওয়া যাচ্ছে না। জানা গেছে, ওই ফিলিস্তিনিরা যে সেলে থাকতেন সেটির কমোডের নিচে গর্ত খুঁড়ে ওই সুড়ঙ্গটি তৈরি করা হয়। যার শেষ মাথা ছিল জেলের ঠিক বাইরে একটি মাটির রাস্তায়।
বিবিসি জানিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া কয়েদীদের মধ্যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন আল-আকসা মার্টার্স ব্রিগেডের সাবেক নেতা জাকারিয়া জুবেইদি আছেন। হত্যাপ্রচেষ্টাসহ প্রায় ২৪টি মামলায় জুবেইদির বিচার করছিলো ইসরায়েল। এছাড়াও পলাতকদের মধ্যে ইসলামিক জিহাদ নামক একটি ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগঠনের পাঁচ সদস্যও রয়েছেন। এ পাঁচজনই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছিলেন।
গিলবোয়ার একজন কারা কর্মকর্তা এ ঘটনাকে নিরাপত্তা সঙ্কট ও গোয়েন্দা কর্মকান্ডের ব্যর্থতা বলে অভিহিত করেছেন। আর
আপামর ফিলিস্তিনিরা এ জেল পালানোর ঘটনাকে বীরোচিত বলে স্বাগত জানিয়েছে।
অপরদিকে, ইসরায়েলি পুলিশ ও সেনাবাহিনী পলাতকদের খোঁজে অভিযান শুরু করেছে। তারা যেন পশ্চিম তীর বা জর্ডানে পৌঁছাতে না পারেন সে জন্য রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গিলবোয়া থেকে জর্ডান সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ৯ মাইল।
/এসএইচ
Leave a reply