কট্টোর জাতীয়তাবাদী এবং মুসলিম বিরোধী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী আসিন উইরাথুকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমার জান্তা। বিতর্কিত এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সামরিক সরকার পন্থী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত। আসিনের বিরুদ্ধে অং সান সু চি সরকারের আমলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা থাকলেও গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সে মামলা খরিজ করে দেয় জান্তা সরকার। খবর বিবিসির।
‘বুদ্ধিস্ট বিন লাদেন’ নামে পরিচিত এই সন্ন্যাসী একাধিকবার মুসলিম বিরোধী বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় এসেছেন আসিয়ান। বিশেষ করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তার হিংস্র ও আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রকাশ্যে এসেছে বহুবার।
বিভিন্ন সময় তৎকালীন সরকার প্রধান অং সান সু চির কঠোর সমালোচনা করতেও দেখা গেছে আসিনকে। এরপর ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উত্তাপ ছড়ানোর জন্য রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আসিন উইরাথুর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ছিল তা খারিজ করে দেয়া হলো। তবে এর কোনো কারণ জানানো হয়নি।
জানা গেছে, সেনা হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। যদিও তার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়নি কোনো তথ্য।
আসিন উইরাথু রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে শিরোনামে উঠে আসেন। মিয়ানমারের ৯৬৯ জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম নামে পরিচিত কর্মকাণ্ডেও তিনি সম্মুখ সারিতে ছিলেন।
২০১২ সালে টাইমস ম্যাগাজিনের কভার পেজে উঠে আসেন আসিন। এর শিরোনাম ছিলো, ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাসবাদের মুখ’ বা ‘দ্য ফেস অব বুদ্ধিস্ট টেরর’। এরপর ২০১৭ সালে মিয়ানমারের শীর্ষ বৌদ্ধ কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিষিদ্ধ হন আসিন, ২০১৮ সালে ঘৃণামূলক বক্তব্যের কারণে ফেসবুক থেকেও নিষিদ্ধ হন তিনি। পরের বছরই তার বিরুদ্ধে আনা হয় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা।
Leave a reply