ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতারাতি ভাগ্য বদলানো মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি গ্রেফতার

|

পিবিআইয়ের হাতে আটক আলোচিত ৩ মাদক ব্যবসায়ী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিবাসী মনির হোসেন পেশায় ছিলেন একজন অটোরিকশা চালক, আর তার স্ত্রী রহিমা বেগম চম্পা পেশায় গৃহিনী। খুবই সাধারণ এ দম্পতি গত ৫-৬ বছরে যেন হাতে পেয়েছে আলাদিনের চেরাগ! মালিক হয়েছে একাধিক বাড়ির। এছাড়াও রয়েছে তাদের মালিকানাধীন অনেক জমিজমাও। তবে তাদের এ বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার বিষয়টি ছিল অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা অবাধে চালাচ্ছিলেন মাদক ব্যবসা। এর আগে একাধিকবার গ্রেফতার হলে বেরিয়ে গেছেন বিভিন্ন ফাঁক-ফোকর গলিয়ে। তবে এবার এ দম্পতি ধরা পড়েছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জালে।

গত ৫-৬ বছর আগেও অটো-রিকশা চালিয়ে সংসার চালাতেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট এলাকার মনির হোসেন। স্ত্রী রহিমা বেগম চম্পাকে নিয়ে বসবাস করতেন সেখানে। মাত্র ৫’শত টাকা ভাড়ায় একটি টিনসেড ঘরে ছিল তাদের সংসার। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে প্রতি মাসের ভাড়া দিতেও হিমশিম খেতেন তারা।

এমন অবস্থায়ই এক পর্যায়ে তারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে এ দম্পতি। গোকর্ণঘাট, ছয়বাড়িয়া এবং চন্ডারখিল গ্রামে তাদের এখন তাদের একাধিক বাড়ি রয়েছে। বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন মানুষের আনাগোনায় স্থানীয়রা তাদের মাদক ব্যবসার বিষয়টি জানতে পারে। যথাযথ প্রমাণ না থাকায় একাধিকবার মনির-চম্পা দম্পতিকে ধরার চেষ্টা করেও
ব্যর্থ হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তবে গতকাল বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) নিজ বাড়ি থেকে মনির হোসেন ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম চম্পাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এছাড়া এই দম্পতির কাছে মাদক সরবরাহ করতে এসে গ্রেফতার হয়েছে আরেক চিহ্নিত মাদক কারবারি বানেছা বেগম।

তাদের মাদক ব্যবসা এখন সবার মুখে মুখে। কমদিনেই হয়েছে অঢেল অর্থের মালিক। তাদের সব কিছু তদন্ত করার দাবি স্থানীয়দের। পাশপাশি মনির-চম্পা দম্পতির নিযুক্ত লাইনম্যান এজেন্টদেরও খুঁজে বের করে গ্রেফতারের দাবি জানান স্থানীয়দের।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, তাদের একমাত্র পেশা মাদক ব্যবসা। এর মাধ্যমেই তারা অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply