বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি এবং ভারতের লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা’র সৌজন্য সাক্ষাৎ আজ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ আন্তঃদেশীয় সম্পর্কোন্নয়ন, দুই দেশের সংসদীয় কূটনীতি, বিরাজমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, লোকসভা টিভি ও সংসদ টিভির পারস্পারিক সহযোগিতামূলক সম্প্রচার সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ পরস্পর অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও ভারতের জনগণ বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছিল তা হৃদয়স্পর্শী। মুক্তিযুদ্ধকালীন সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বরাবরই ব্যতিক্রম। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসেন, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, সংস্কৃতি ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কর্মকর্তাগণ ভারতের লোকসভায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকেন, কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে যা ব্যাহত হয়েছে। বাংলাদেশের সংসদ টেলিভিশন এবং ভারতের লোকসভা টেলিভিশন পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ভারতের লোকসভা স্পিকার মি. ওম বিরলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক-সামাজিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নসহ বাংলাদেশে নারীদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় ভবিষ্যতে যে কোন বিষয়ে একত্রে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন লোকসভার স্পীকার।
ভারতের সরকারি হিসাব কমিটির ১০০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ওম বিরলা আমন্ত্রণ জানালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে ধন্যবাদ জানান। একই দিনে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পিস কনফারেন্স থাকায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে ভারত সফরের আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের স্পিকার।
Leave a reply