নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম স্বপনকে (৫৯) তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে।
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা গতকাল বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে আটকে রেখে তাকে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ সাইফুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল ইসলামের। পরিবারের দাবি, সাইফুল ইসলামকে নির্যাতনের পাশাপাশি তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মুঠোফোনও ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।
গতকাল রাত ১১টায় গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুল ইসলামকে উপজেলা জাপার সভাপতি আবদুল লতিফের কাছে হস্তান্তর করা হয়। চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ঢাকার আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়ার পর, সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে আহত সাইফুল ইসলামকে ঢাকায় একটি বাসায় রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, আজ বিকেল পর্যন্ত সাইফুল ইসলাম অনেকটা অচেতন ছিলেন।
আহত সাইফুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আমার বাবা গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। বাবার সাথে কাদের মির্জার কোনো পূর্বশত্রুতা নেই। তবুও গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাবাকে বসুরহাটের কালামিয়া ম্যানশন নামের একটি বিপণিবিতানের সামনে থেকে কাদের মির্জার অনুসারীরা পৌরসভা কার্যালয়ে ধরে নিয়ে যায়।
মাহমুদুল ইসলাম আরও বলেন, বাবাকে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। এরপর হাত-পা বেঁধে চলানো হয় নির্মম নির্যাতন। শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আঘাত করা হয়নি।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফকে ডেকে পাঠিয়ে নির্যাতনে গুরুতর আহত সাইফুল ইসলামকে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তার ছোট ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা আহত সাইফুল ইসলামের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, জাপা নেতাকে নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই। পরিবারের কেউ এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।
/এসএইচ
Leave a reply