ঢাকায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময় তার অফিসের সামনে রাজনৈতিক অন্তর্কোন্দলের জেরে মারধরের শিকার হয়ে দলের হাইকমান্ডের কাছে বিচার চাইলেন পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। হামলাকারীদের বিচার চেয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরাবর আবেদন করেছেন তারা।
মঠবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ ফেরদৌস ও সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর স্বাক্ষরিত আবেদনপত্রে অভিযোগ করা হয়, গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের আইন উপ-কমিটির সদস্য বায়েজিদ আহম্মেদ খানের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন অস্ত্রধারী হামলার উদ্দেশ্য মঠবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাতুব্বরসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা করে। অভিযুক্ত বায়েজিদ জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, মারধরের শিকার আওয়ামী লীগ নেতারা বিভাগীয় সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের হস্তক্ষেপ চাইলে তারা অফিসিয়াল আবেদন করার পরামর্শ দেন। সে প্রেক্ষিতে দলের সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
গত মঙ্গলবার ঢাকায় এসে ধানমন্ডি ৯/এ-তে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের অফিসের সামনে মারামারিতে জড়ান পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাতুব্বরকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মাতবর ও মঠবাড়ীয়া উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মো. সোহেল একসঙ্গে জাহাঙ্গীর কবির নানকের অফিসের দিকে যান। এ সময় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, যা পরে হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে যুবলীগ নেতা সোহেলের ছোট ভাই ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি বায়েজিদ আহম্মেদের নেতৃত্বে একদল যুবক সেলিম মাতবরের ওপর চড়াও হন। তিনি জাহাঙ্গীর কবির নানকের অফিসে দৌড়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। এ খবর মাঠবাড়িয়ায় পৌঁছলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এর প্রতিবাদে আজ বুধবার বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।
Leave a reply