ঝুলন্ত লাশের বুকপকেটে পাওয়া গেলো তিন পাতার সুইসাইড নোট

|

ছেলের চাকরি না হওয়ায় শেষপর্যন্ত ক্ষোভে-কষ্টে আত্মহত্যা করেন এমদাদুল।

এমদাদুল হক চাকরি করতেন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হিসেবে। অবসরে গেছেন চলতি বছরের এপ্রিলে। ১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় তিনি আত্মহত্যা করেন। ঝুলন্ত মরদেহ নামানোর পর এমদাদুল হকের বুকপকেটে মেলে একটি তিন পাতার দীর্ঘ সুইসাইড নোট। যেটিতে জানা যায় আত্মহননের কারণ। সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের এ ঘটনায় আলোড়ন তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। এরই মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা হয়েছে।

এমদাদুল হকের বুকপকেটে পাওয়া চিরকুটে লেখা, এমদাদুল তার অফিসের প্রধান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সারওয়ার জাহানকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকোত্তর করা ছেলে, রাজিবুল হক পিকুলের ব্যাংকে চাকরির জন্য। সে কথা পরিবারের কাউকে জানাননি তিনি। এমনকি জানাননি ছেলে পিকুলকেও।

চাকরি দিতে পারেননি সারওয়ার জাহান। তিনি চলে যান অবসরে। অবসরে চলে যান এমদাদুলও। ছেলের চাকরি না হওয়ায় শেষপর্যন্ত টাকার জন্য সারওয়ারের কাছে ধর্না দেয়া শুরু করেন এমদাদুল হক। সেটিও না পেয়ে ক্ষোভে-কষ্টে বাজিতপুরের বাড়িতে এমদাদুল আত্মহত্যা করেন।

বাজিতপুর থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন নিহত এমদাদুলের ছেলে পিকুল। তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করছেন।

অভিযুক্ত সারওয়ার জাহান অবসরের পর থাকতের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের বকশিগঞ্জে। তবে মামলার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply