পরীমণিকে অন্যায়ভাবে রিমান্ডে নেয়ায় আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা কমেছে: অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

|

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র আয়োজনে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

নায়িকা পরীমণির সাথে অন্যায় হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেয়ার কোনো যুক্তি নেই, এর ফলে আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা কমেছে- এমন মন্তব্য করেছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, বিনোদন জগতে মাদকের ব্যবহার ব্যবসার জন্য, আর পরীমণিরা বাধ্য হচ্ছেন ক্লাবে যেতে। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র বিনোদন জগতে মাদক বিষয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে বিনোদন জগতে মাদকের অপব্যবহার বাড়ছে, সম্প্রতি এ নিয়ে ছায়া সংসদ বির্তক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এ আয়োজনে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাতের রানী একটি অশ্লীল কথা। এসব বাজে কথা কাটতির জন্য মিডিয়া ফলাও করে তা প্রচার করে। পরীমনির সাথে যা হয়েছে নিঃসন্দেহে তা চরম অন্যায়। পরীমণি ক্লাবে গিয়েছে, ব্যবসায়ীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য। এটা না করলে তাকে সিনেমায় কাজ দিতো না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পত্রিকায় রাতের রাণী বলে যেসব অশ্লীল কথা বলা হচ্ছে তা শুধুমাত্র কাটতি বাড়ানোর জন্য। তারা এসব ক্ষেত্রে বিতর্কিত মন্তব্য করে ‘অপরাধের জন্য নারীই দায়ী’ এমন ধারণা প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে।

আর বির্তক প্রতিযোগিতার আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান দাবি জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে পরীমনি, মডেল পিয়াশা মৌদের যারা পৃষ্ঠপোষক, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। মাদক নির্মুলে রাষ্ট্রকে আরো আন্তরিক হওয়ারও আহবান জানান তিনি।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, পরীমণিকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একজন শিল্পীকে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, এবং পুলিশসহ যারা সরকারে রয়েছেন তাদের সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে যারা রাতের রাণী আখ্যায়িত করছেন তাদের রাতের রাজাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে।

ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতায় বিরোধী দল জয়ী হয়। পরে বিজয়ী দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply