চমৎকার এক জিনিস খুঁজে বের করেছেন এক ডাচ বিজ্ঞানী। সব বয়সীর মানুষকে তাক লাগিয়ে দিবে এমন ঘটনা। সেটি হলো একটি হাঁসের ডাক। কারণ সেই মাস্ক হাঁসটি স্পষ্ট উচ্চারণ করছে, ‘ইউ ব্লাডি ফুল!’ বলার অপেক্ষা রাখে না এটি মানুষের থেকেই শিখেছে হাঁসটি। খবর আজতাকের।
খবরে বলা হয়, এর আগে হাঁসটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার এক পাখি উদ্যানে। মনে করা হচ্ছে সেখানে থাকার সময় ওই বুলি রপ্ত করেছে সে। আর সেটির উচ্চারণে অস্ট্রেলীয় প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সেই হাঁসের পুরনো একটি রেকর্ডিং খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
লেইডেন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী কারেল টেন কাটে জানান, ওই পাখিটির স্বর শুনতে দারুণ লেগেছে। পাখিটির নাম রিপার। বেশি কিছু বলা নেই। তবে সেটি মানুষের গলা নকল করতে বেশ পটু।
তিনি জানান, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই পাখিটি মানুষের মুখ থেকে শোনা শব্দই বলছে। তবে এর উচ্চারণ যেন অদ্ভুত। অনেকটা অস্ট্রেলীয় উচ্চারণ। নেদারল্যান্ডের ফিলোসফিক্যাল ট্রানজেকসশনস অফ রয়্যাল সোসাইটি পত্রিকায় তার খোঁজের ব্যাপারে লিখেছেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটা ১৯৮০ সালে রেকর্ড হওয়া জিনিস। বেশ পুরনো, সন্দেহ নেই। সেগুলো জালও তো হতে পারে। তবে সেগুলো রেকর্ড করেছেন তৎকালীন পক্ষীবিদ পিটার ফুলাগার। যিনি ওই পেপার লেখার সঙ্গে যুক্ত। ওই রেকর্ডিংগুলো এক সাউন্ড আর্কাইভে রাখা রয়েছে। এবং বিভিন্ন সময়ে তার কথা উল্লেখও করা হয়। তবে টেন কাটে সেগুলো খুঁজে পাওয়া পর্যন্ত সেগুলো যেন চাপা পড়েই ছিল। তিনি নিজের গবেষণার কাজে সেগুলি খুঁজে বের করেন। আর বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, ওই হাঁস আরও কিছু ডাক দিতে পারে। যেমন দরজা বন্ধ হলে যেমন আওয়াজ হয়, সে তা নকল করতে পারে। ঘটনা হলো বেশ কিছু প্রাণী, টিয়াপাখিসহ আরও পাখি মানুষের স্বর নকল করতে পারে। এর বাইরে হাঁস এমন কাজ করছে এটা বেশ আলাদা। নিজে থেকেই সে নকল করে, এমনটা তো দেখা যায় না। এটা বিশেষ একটা ঘটনা।
ইউএইচ/
Leave a reply