শ্লীলতাহানির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস।
সম্প্রতি ফেসবুকে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের একটি যৌন হয়রানির ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় এই নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, চিত্তরঞ্জন দাস একটি কক্ষে এক তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করছেন। ওই কক্ষের কেউ তা গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ওই ভুক্তভোগী নারী রাজধানীর সবুজবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) মামলাটির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চিত্তরঞ্জন দাস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর শ্বশুরের চায়ের দোকান আছে। যেটি সংস্কার করতে দিচ্ছিলেন না ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন। পাশাপাশি তার শ্বশুরের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন কাউন্সিলর। পরবর্তীতে যখন কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগ করা হয় তখন তিনি তার কার্যালয়ে যেতে বলেন। এরপর কার্যালয়ে গেলে ওই নারীকে পাশের রুমে যেতে বলেন কাউন্সিলর। রুমে প্রবেশ করার পর দরজা বন্ধ করে ওই নারীর শ্লীলতাহানি করেন।
এদিকে, শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতা চিত্ত রঞ্জন দাসের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
Leave a reply