নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
বৈরি আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে দু’টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রলারে থাকা ১৪ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় ইউছুফ মাঝি (৫০) নামের এক জেলে নিহত হয়েছে, তার মরদেহ ইতোমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন আবুল কালাম নামের আরও এক জেলে। এদিকে, নদী উত্তাল থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাতিয়ায় সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল সামিয়ক বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে মেঘনা নদীর ইসলাম চর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ইউছুফ মাঝি চানন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম আদর্শ গ্রামের হোসেনের ছেলে। নিখোঁজ আবুল কালাম একই এলাকার বাতেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে চানন্দী ইউনিয়নের চম্পা ঘাট থেকে ৭জন জেলে নিয়ে মিরাজ উদ্দিনের একটি মাছ ধরার ট্রলার ও ইউছুফ মাঝির একটি ট্রলার আরও ৯জন জেলেসহ মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যায়। রোববার বিকেলে চেয়ারম্যানঘাট-ভাসানচর এলাকার মধ্যবর্তি এলাকার ইসলাম চর এলাকায় প্রচণ্ড বাতাসের কবলে পড়ে ট্রলার দু’টি।
এসময় ট্রলার দু’টিতে থাকা ১৪জন জেলে নিয়ে নদীতে ডুবে যায়। পরে পাশ্ববর্তী একটি ট্রলারের সহযোগিতায় ১৪জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ হন ইউছুফ মাঝি ও আবুল কালাম। সোমবার ভোরে স্থানীয় জেলেরা ইউছুফ মাঝির ট্রলারটি উদ্ধার করলেও ট্রলারের কেভিন থেকে ইউছুফের লাশ উদ্ধার করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সোমবার (বেলা ১১টা) মিরাজ উদ্দিনের ট্রলারের আবুল কালাম নিখোঁজ রয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, নিহত জেলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারকে সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া সাগর উত্তাল থাকায় সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়া ট্রলারগুলোকে স্ব-স্ব ঘাটে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a reply