সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলমান থাকায় আজ শুক্রবারের জুমার নামাজ ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মুসলমানদের মধ্যে। তবে শেষ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো ধরনের সংঘাত ছাড়াই মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে পেরেছেন মুসল্লিরা।
জুমার নামাজের আগে থেকেই বিভিন্ন মসজিদ ও তার আশপাশের এলাকায় সেনারা অস্ত্রহাতে পাহারায় ছিলেন।
গত সপ্তাহে সামাজিম মাধ্যমে ছড়ানো এক গুজব থেকে মুসলিমবিরোধী এই দাঙ্গার সূত্রপাত। পর্যটন নগরী ক্যান্ডির মুসলিম মালিকানাধীন দোকানে বৌদ্ধদের খাবারে গর্ভনিরোধক মেশানো হয়েছে- এমন গুজব ছড়িয়ে শুরু হয় অগ্নিসংযোগ।
সহিংসতার মধ্যেই এক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নিহতের খবর আগুনে ঘি ঢালে। আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে হামলাকারীরা। ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগ চালানো হয় মুসলমানদের বিভিন্ন স্থাপনায়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্যান্ডিতে কারফিউ জারি করেন কর্তৃপক্ষ। তবে কারফিউ ভেঙে উচ্ছৃঙ্খল জনতার তাণ্ডব অব্যাহত থাকে। পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে এক মুসলিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
দেশটি ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় আছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা। ক্যান্ডি ছাড়িয়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। আরও সংঘাতের আশঙ্কায় মঙ্গলবার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
সরকারি নির্দেশে গত তিন দিন ধরে ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। মুসলমানদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও খোলা হয়নি। হামলার অভিযোগে দেড়শতাধিক বৌদ্ধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Leave a reply