পাহাড়ে দিন দিন বাড়ছে কৃষি অর্থনীতির পরিধি। বিভিন্ন জাতের ফল ও মসলার পর এবার চাষীরা ঝুঁকছেন মৎস্য চাষের দিকে। নানা প্রতিবন্ধকতার পরও খাগড়াছড়িতে ব্যক্তি উদ্যোগে মাছ চাষ করে অনেকে লাভবান হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন অন্যরাও। তবে জেলার চাহিদার তুলনায় উৎপাদন এখনও অর্ধেকের কম।
একসময় পাহাড়ে মৎস্য চাষের কথা কেউ না ভাবলেও, এখন তা বাস্তবতা। খাগড়াছড়ির রামগড় ও মহালছড়িতে কয়েকশো একর জমিতে মৎস্য চাষে বিনিয়োগ করেছেন চাষীরা। এছাড়া পাহাড়ে ক্রিক বাঁধ, কৃষিজমি ও পরিত্যক্ত জায়গায় পুকুর খনন করেও চলছে চাষাবাদ। তবে সঠিক তথ্য ও মানসম্পন্ন পোনা না পাওয়া সহ নানা প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ অনেকের।
খাগড়াছড়িতে মাছের বার্ষিক চাহিদা ১৩,৫৭৬ টন। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৫,৯০৭ টন। বাকিটা আসে বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে। চাষাবাদ বাড়লে ঘাটতি পূরণ হবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। রামগড় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাশ বলছেন, এখন মাত্র দুটি প্রজেক্ট চালু আছে। সবমিলিয়ে দশ বারোটি প্রজেক্ট করা গেলা ঘাটতি পুরোপুরি পূরণ করা সম্ভব।
খাগড়াছড়িতে একটি হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদিত হলেও তা বিতরণের উদ্যোগ এবং ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের কোনো তালিকা নেই।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মঈন উদ্দিন আহমদে জানালেন, খাগড়াছড়ির সকল পোনার চাহিদা অতিদ্রুতই তাদের হ্যাচারির মাধ্যমে সরবরাহ করতে পারবেন। বললেন, গত ছয় মাসে তারা ৩৫ কেজি রেণু বিক্রি করেছেন।
তবে সম্ভাবনাময় এই খাতে চাষাবাদে আগ্রহ ও উৎপাদন বাড়াতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চান পাহাড়ের চাষীরা।
Leave a reply