পৌনে ২০০ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদের’ মালিক হওয়ার অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক মো. শফি উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।
এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জন এবং ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের ‘তথ্য গোপনের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম, ছেলে মো. মাসুম পাঠান এবং দুই মেয়ে খালেদা পারভীন ও তানসিন কেয়ার নামে ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায়’ তাদের নামে আলাদা পাঁচটি সম্পদ বিবরণী জমা দিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিশের জবাবে ২০১৯ সালের ২৩ জুন দুদক সচিব বরাবর তারা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। সেই সম্পদ বিবরণী যাচাই ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার প্রমাণ পাওয়ায় গেছে।
পাঁচ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
Leave a reply