যুব গেমসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

|

জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠলো যুব গেমসের প্রথম আসরের চূড়ান্ত পর্বের। শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আনুষ্ঠানিকভাবে গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলন করেন কমনওয়েলথে স্বর্ণজয়ী শ্যুটার আসিফ হোসেন খান। সারা দেশের প্রায় ৩ হাজার যুব অ্যাথলেট অংশ নেয় বর্ণাঢ্য মার্চ পাস্টে। গেমসের মাস্কট ‘তেজস্বী’।

অনেকদিন পর যুব গেমসের জন্যই যেন প্রাণ ফিরে পেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের পাশেই ছিল পদ্মা সেতুর প্রতিকৃতি। যা আলাদা ভাবেই নজর কাড়ে সবার। এলইডির মাধ্যমেই পদ্মা সেতুর নিচে ফুটিয়ে তোলা হয় পানি। আর এর মাঝেই চলতে থাকে মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শুরুটা হয়েছিল জাতীয় সঙ্গীত আর একই ট্র্যাকসুট পড়ে প্রায় ৩ হাজার অ্যাথলেট ও সংশ্লিষ্টদের মার্চপাস্টের মধ্যে দিয়ে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই পর্দা উঠে প্রথম বাংলাদেশ যুব গেমসের। মশাল প্রজ্জ্বলন করেন শ্যুটার আসিফ হোসেন খান। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বড় আকর্ষণ ছিল লেজার শো আর আতশবাজি।

অনূর্ধ্ব-১৭ বছর বয়সী প্রতিযোগীদের নিয়ে আয়োজিত জাতীয় যুব গেমস সাড়া ফেলেছে সারা দেশে। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের লড়াই শেষে গেমসের চূড়ান্ত পর্ব হচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ভবিষ্যতের ক্রীড়াবিদ খুঁজে বের করার এই মিশন শুরু হয়। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নিয়েছেন ২৩ হাজার ২১০ জন। এখন চূড়ান্ত পর্বে শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর অপেক্ষায় বাছাই করা দুই হাজার ৬৬০ জন ক্রীড়াবিদ। শেষ পর্বে ১৫৯টি ইভেন্টে এক হাজার ১১২টি পদকের জন্য লড়াই করবেন তারা। লড়াই হবে ৩৪০টি স্বর্ণ, ৩৪০টি রৌপ্য এবং ৪৩২টি ব্রোঞ্জ পদকের জন্য।

চূড়ান্ত পর্বের ডিসিপ্লিনগুলো হলো- অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, ফুটবল, কাবাডি, বাস্কেটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল, হকি, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলন, কুস্তি, উশু, শুটিং, আর্চারি, ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, দাবা, জুডো, কারাতে, তায়কোয়ান্দো ও স্কোয়াশ।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply