করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত থাইল্যান্ডের ট্যাক্সিচালকরা। বহু ট্যাক্সি চালককে কাজ ছেড়ে ফিরে যেতে হয়েছে নিজেদের গ্রামে। এই বাড়তে থাকা সমস্যায় এক অভিনব প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে বের করেছে ট্যাক্সি ইউনিয়ন। গাড়ির ছাদে বাগান করে সবজি চাষ করছেন তারা। এই বাগান একাধারে তাদের প্রতিবাদের ভাষা এবং কর্মহীন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়ার এক প্রয়াস। খবর বিবিসি’র।
থাইল্যান্ডের রচাপ্রুক ও বোভর্ন নামে দুটি সমবায় সমিতির অধীন মাত্র ৫০০টি ট্যাক্সিক্যাব এখন ব্যাংককের রাস্তায় চলছে। বাকি প্রায় আড়াই হাজারের মতো গাড়ি অলস বসে আছে বলে জানান সমিতির নির্বাহী থাপাকর্ন আসসাওয়ালার্টকুল।
এমন অনেক চালক আছেন, যারা ট্যাক্সি চালানোই বন্ধ করে দিয়েছেন। বিশেষ করে গত বছর যখন প্রথম মহামারী শুরু হলো তখন অনেকেই গাড়ি ছেড়ে দিয়ে গ্রামে পরিবার-পরিজনের কাছে চলে গেছেন। যখন দ্বিতীয় দফায় মহামারীর আঘাত আসে, তখন আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি অনেকেই।
থাপাকর্ন আসসাওয়ালার্টকুল বলেন, এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে অনেক চালক শহরের যেকোনো একটি জায়গায় কিংবা গ্যাসস্টেশনে গাড়ি ফেলে রেখে চলে গেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ট্যাক্সি পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক সংকটে পড়ে। এসব বাহন কিনতে তাদের যে পরিমাণ ঋণ নিতে হয়েছিল, তা পরিশোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সরকারও কোনো আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
Leave a reply