মুশফিকুর রহিমের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে পাহাড় টপকালো বাংলাদেশ। নিদাহাস কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেট হাতে রেখেই শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ২১৪ রানের লক্ষ্য টপকালো টাইগাররা। গড়লো টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সর্বোচ্চ রানেরও রেকর্ড এটি। ৩৫ বলে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন মুশফিক।
অবশ্য শুরুতেই জয়ে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন তামিম-লিটনরা। ৫ ছয় ও ২ চারে ১৯ বলে ৪৩ রানের ঝড় তুলেছেন লিটন। আর তামিম করেছেন ২৯ বলে ৪৭ রান। এরপর রানের চাকা সচল রেখে গেছেন সৌম্য-মাহমুদুল্লাহরা। আর অবিশ্বাস্য মুশফিক তো ছিলেনই। নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিয়ে ৪ ছয় ও ৫ চারে করেছেন ৭২ রান। দলকে জিতিয়েই বীরের বেশে ছেড়েছেন মাঠ। হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
এরআগে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিবের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই যেন শুরু থেকে চড়াও দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান মেন্ডিস ও গুণাথিলাকা। চতুর্থ ওভারেই পঞ্চাশ পার করে শ্রীলঙ্কা। সবচেয়ে বেশি ঝড় গেছে তাসকিনের ওপর। প্রথম দু’ওভারে ৩৩ রান দিয়েছেন এ পেসার। পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজ উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন গুণাথিলাকাকে বোল্ড করে। এরপর কুশল পেরেরার সাথে জুটি বেঁধে দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রান যোগ করেন কুশল মেন্ডিস।
কিছুতেই কাজ হচ্ছে না দেখে নিজের ভুলে যাওয়া বোলার পরিচয়টার কথা যেন মনে পড়ে যায় মাহমুদউল্লাহর। সপ্তম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে এক ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন অধিনায়ক। কুশল মেন্ডিসকে (৩০ বলে ৫৭) ক্যাচ বানিয়েছেন সাব্বিরের। দুই বলের মধ্যে আবারও সাব্বিরের ক্যাচ বানিয়েছেন শানাকাকে। পরের ওভারে দিনেশ চান্ডিমালেরও ক্যাচ নেন সাব্বির। উইকেটের ঘরে তাসকিনের নাম লেখা থাকলেও পুরো কৃতিত্ব সাব্বিরের। অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়েছেন তিনি।
কিন্তু কুশল পেরেরার ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছুটেই চলছিল। সাথে উপুল থারাঙ্গার ১৫ বলে ৩২ রানের ঝড়। শেষ ওভারে জোড়া আঘাত করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় বলে কুশল পেরেরাকে ৭৪ রানে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান তিনি। মাত্র ৪৮ বলে ৮ চার ও ২ ছয়ে ইনিংস সেরা পারফরম্যান্স করেন কুশল পেরেরা। থিসারা পেরেরাকে এক বল বিরতি দিয়ে নাজমুল ইসলামের ক্যাচ বানান বাঁহাতি পেসার। ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন এই বাহাতি।
এমন অবিশ্বাস্য জয়ের পর গত কিছুদিনের বিবর্ণ দশা কাটিয়ে ছন্দে ফিরবে টাইগাররা, এই আশা করাই যায়।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply