নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি গত ২ সেপ্টেম্বর একটি বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসিকে এক চিঠিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। পুনরায় চালু হওয়ার পর যেন কোনো ধরনের অরাজক পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
১৬ সেপ্টেম্বর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সাথে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার পর ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। এছাড়াও যে কোনো ধরনের নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদ প্রচার হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা জানতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। তবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বিঘ্ন না ঘটিয়েই এসব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নীরিক্ষণের জন্য মূল প্রবেশপথসহ ক্যাম্পাসের স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতেও স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথেও যোগাযোগ বজায় রাখবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Leave a reply