স্টাফ রিপোর্টার, যশোর:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার হওয়া যশোরের দুই শিক্ষার্থীর পরিবার শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। সন্তানের আকস্মিক মৃত্যুতে হতবিহবল বাবা-মা। নিহতরা হলেন রাফিড ঐশিক ও ফারাবী অভ্র। তারা দুইজনই অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
নিহত রাফিদ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি কাসেদুজ্জামান সেলিমের ছেলে এবং অভ্র আব্দুর রাজ্জাক কলেজের শিক্ষক শাহরিয়ার মেহের ইবনের ছেলে।
নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সকলে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। সন্তানের আকস্মিক মৃত্যু কোনভাবেই যেন সান্ত্বনা দিতে পারছেনা নিজের মনকে। ধারণা করছেন তাদের সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। তারা এই ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান।
স্বজনরা জানান, চারদিন আগে ৬ বন্ধু একসাথে কক্সবাজার বেড়াতে যায়। কিন্তু গতকাল থেকে তাদের সাথে আর কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিলনা। আজ সকালে জানতে পারেন সমুদ্র সৈকত থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে সমবেদনা জানাতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয়-সজনসহ শহরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সৈকতের সীগাল পয়েন্টে গোসল করতে নেমে ভেসে যান আসা শিক্ষার্থী। এ সময় লাইফগার্ড কর্মীরা ঐশিক নামে একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা ৫ বন্ধু যশোর থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে এসে সাগরে গোসল করতে নেমে দুই জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে।
বিচের উদ্ধারকর্মী মাহবুব আলম জানান, ভেসে আসা লাশটির খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করি আমরা।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ ভেসে এসেছে কক্সবাজার সমূদ্র সৈকতে। মৃতদের দুইজন পর্যটক ও একজন স্থানীয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ইমন নামে স্থানীয় এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয় সৈকতের সীগাল পয়েন্ট থেকে। সে শহরের কলাতলীর চন্দ্রিমা এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাগরে নামার দশ সতকর্তা নিয়ে দশ দিনের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। এতে বিকাল ৫টার পর সাগরে না নামা লাল পতাকা চিহ্নিত স্থানে সাগরে না নামাসহ দশ ধরনের সতর্কতামূলক বার্তা থাকলেও সন্ধ্যার পরও অনেক পর্যটককে সাগরে গোসল করতে দেখা গেছে।
এছাড়া দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার থেকে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল রয়েছে।
Leave a reply