ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফ্রান্স যে নিরাপত্তা কাঠামো এবং সাবমেরিন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলো সেটি বাস্তবসম্মত নয় বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। চুক্তিভঙ্গের ব্যাপারে ম্যাকরন সরকারের প্রস্তুত থাকা উচিত ছিলো বলেও মনে করেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার গভীর এবং তীব্র উদ্বেগের কথা ফ্রান্স সরকারের জানা উচিত ছিলো উল্লেখ করে মরিসন বলেন, সাবমেরিন প্রকল্পের সাথে জড়িত ফরাসি সরকার এবং তাদের নৌবাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার ত্রিদেশীয় জোট ‘অকাস’ চুক্তিটি নিঃসন্দেহে হতাশার। কিন্তু সার্বভৌম দেশ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে চুক্তি বাতিলের মাধ্যমে নতুন চুক্তিতে সই করার এখতিয়ার রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। আর ফ্রান্সের প্রকল্পটি বাতিলে গত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছিলো। কারণ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা কাঠামোর সাথে সেটি মানানসই নয়।
গত সপ্তাহে ‘অকাস’ নামে বিশেষ এক নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া। মূলত এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমাতেই চুক্তিটি করা হয়। এই চুক্তির আওতায় প্রথমবারের মতো পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিন তৈরি করতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। এজন্য তাদের বাতিল করতে হয়েছে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি। ঐ চুক্তির প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে রাষ্টদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে ফ্রান্স।
এর আগে সাবমেরিন চুক্তি থেকে অস্ট্রেলিয়ার নাটকীয়ভাবে বেরিয়ে যাওয়াকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে আখ্যা দিয়েছিল ফ্রান্স। বলা হয়েছিল, আমাদের পেছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। মিত্র দেশের মতো আচরণ নয় এটি।
Leave a reply