নিউজিল্যান্ডের পর ইংল্যান্ড। পর পর দুটি সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট ফেরানোর আশায় আপাতত গুড়েবালি। এক নিউজিল্যান্ড সিরিজেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ১৩ কোটি টাকার লোকসান, তার উপর নিজেদের সম্মানের ওপর আঘাত। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের শরণাপন্ন হয়েছিল পাকিস্তান। রাজিও হয়েছিল বাংলাদেশ, তবে বিশ্বকাপের ব্যস্ত সূচীকে সামনে রেখে দ্বিতীয় সারির দল পাঠাতে চেয়েছিল বিসিবি। কিন্তু বিসিবির দ্বিতীয় সারির দল পাঠানোর প্রস্তাব গ্রহণ করেননি পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা।
পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট যেমন আছে তেমনভাবেই চলতে থাকবে, বেঁচে থাকবে। এইখানে ক্রিকেট ফিরবে। এ যাত্রায় আমাদের হাতে অপশনও ছিল, জিম্বাবুয়ে প্রস্তুত ছিল, বাংলাদেশও দ্বিতীয় সারির দল পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি মরিয়াভাবে কোনো কাজ করতে চাই না। মানসম্মান নিয়ে ক্রিকেট খেলবো এবং দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাবো।
এই মুহূর্তে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে পাকিস্তানের আমন্ত্রণে সাড়া না দেয়ার কারণও ব্যাখ্যা করলেন বিসিবি সভাপতি ।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, খেলোয়াড়রা ২০ দিনের ছুটিতে গেছে। পাশাপাশি সকল কোচিং স্টাফও ছুটিতে আছে। ছুটি শেষে সবাই ওমানে প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দিবে। তাই সবাইকে এনে প্রস্তুতি শুরু করে পাকিস্তানে যেতে হলে যে সময় প্রয়োজন তা বিশ্বকাপের আগে পাওয়া যাবে না। এতে ওমানে যে প্রস্তুতি ক্যাম্প ও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা সেগুলো সম্ভব হবে না।
রমিজ রাজার শেষ কথার সূত্র ধরেই বলতে হয়, সর্বশেষ বাংলাদেশের মাটিতে উইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড; তিনটি দেশই প্রায় দ্বিতীয় সারির দল পাঠিয়েছিল। তাতে কি বাংলাদেশের মান-সম্মান কমে গেছে? মাঠের খেলায় কি কোনরকম ঘাটতি দেখা গেছে?
যে দেশে নিরাপত্তার কারণে কেউ খেলতেই চায় না, সেখানে বাংলাদেশ যদি দ্বিতীয় সারির দলও পাঠিয়ে সিরিজ খেলতো এবং সিরিজটার যদি সফল পরিসমাপ্তি হত, তাহলে লাভের পাল্লাটা তো পাকিস্তানেরই ভারী হত।
Leave a reply