গৃহযুদ্ধ-সহিংসতা থেকে পালানো নতুন অভিবাসনপ্রার্থীদের ঢল মোকাবেলা করতে পারবে না তুরস্ক। জাতিসংঘের অধিবেশনে সাফ কথা জানিয়ে দিলেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, সিরিয়া গৃহযুদ্ধ চলাকালে সেদেশের লাখ-লাখ মানুষকে মানবিকতার খাতিরে আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক। এমনকি ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রার্থীদের কেন্দ্রস্থলও দেশটি।
এই সময় আফগানিস্তানে নতুনভাবে সংকট সৃষ্টি হওয়ায় মানবঢল ছুটছে প্রতিবেশী দেশে। এতো মানুষের ধারণক্ষমতা নেই; এমনটা জানিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করলেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তার দাবি, এবার বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর উচিৎ- শরণার্থীদের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়া।
অবশ্য আফগানিস্তানের সংকটময় মুহূর্তে সহযোগিতা দিতে ভুলবে না আঙ্কারা দেন এ ইঙ্গিতও। ২০২৩ সালে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বাড়তে থাকা শরণার্থীদের চাপ, অর্থমন্দা এবং মহামারি মোকাবেলাকে কেন্দ্র করে কিছুটা কোনঠাসা এরদোগান সরকার।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান আরও বলেন, আফগানিস্তান থেকে জনস্রোত ঢুকছে তুরস্কে। কিন্তু মানবিকতার খাতিরে লাখো সিরীয়’র দায়িত্ব নেয়া তুর্কিদের পক্ষে নতুন অভিবাসন ঢল মোকাবেলার ধৈর্য্য বা সক্ষমতা কোনটাই নেই। এবার দায়-দায়িত্ব ভাগ করে নেয়া উচিৎ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। তবে আফগানিস্তানের ব্যাপারে বজায় থাকবে তুরস্কের ভ্রাতৃত্বসুলভ আচরণ।
এনএনআর/
Leave a reply