বগুড়া ব্যুরো:
দুই বন্ধু মিলে অতিরিক্ত মাদক সেবনের পর এক বন্ধুর লাথিতে আরেক বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায়। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ওই যুবকের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয় মঙ্গলবার।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বগুরার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, শনিবার বিকেলে ইসলামপুর থেকে দুই বন্ধু হুমায়ুন ও হারুন দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরে এসে মাদক কিনে গ্রামে ফিরে যায়। হারুনের বাড়িতে কেউ না থাকায় রাতে তারা দু’জন মিলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করে। অতিরিক্ত মাদক সেবনের পর দু’জনই বাড়ির মধ্যে মাতলামি করতে থাকে। একসময় হুমায়ুন অসুস্থ হয়ে পাশের একটি টিউবঅয়েলের পাশে পাড়ে যায়। এসময় হারুন তাকে সেখান থেকে ওঠাতে ব্যর্থ হয়ে তার পিঠে সজোরে কয়েকটি লাথি মারে। এরপরই নিস্তেজ হয়ে পড়ে হুমায়ুন।
ঘটনার পর হারুন বন্ধুর মরদেহ বস্তায় তুলে গ্রামের একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে সটকে পড়ে।
এরপর, সোমবার হুমায়ুনের বাবাকে ফোনে হারুন জানায়, হুমায়ুনকে অপহরণ করা হয়েছে, এক লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে।
পুলিশ সুপার জানান, হুমায়ুনের পরিবার মুক্তিপণের বিষয়টি থানায় জানানোর পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ওইদিন রাতেই তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে আটক করা হয় নিহতের বন্ধু হারুনকে। বুধবার হারুন আদালতে ১৬৪ ধারায় এই ঘটনার জবানবন্দি দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a reply