খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং তার তৎকালীন দুই নাবালক সন্তানও মুক্তিযোদ্ধা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মেজর জিয়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হত্যা করে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এরপর ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর তিনি তার সহধর্মিণীকে টেলিফোনে ঢাকায় তার আত্মীয়ের বাসায় চলে যেতে বলেন। বলেন, যদি যুদ্ধের পর বেঁচে থাকি তবে আবারও দেখা হবে। তখন খালেদা জিয়া দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসে। ওনার আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান নেন। এরপর ২ জুলাই পাকহানাদার বাহিনী তাদেরকে গ্রেফতার করে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে ১৯৭১ সালের ২৭শে জুলাই পাকহানাদার বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ডা. সুফিয়ার তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেডিক্যালের একটি ভিআইপি কেবিনে বেগম মুজিব ওনার কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে আসেন। সেখানে ২৭শে জুলাই উনার পুত্র সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম দেন পাকহানাদার বাহিনীর নিরাপত্তায়। আর বেগম জিয়া তখন ক্যান্টনমেন্টে। অতএব, খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং তার দুইটি নাবালক সন্তানও মুক্তিযোদ্ধা।
এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আজকে জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে কথা হচ্ছে। কারা কথা বলছে? যাদের তৎকালীন সময়ে জন্মই হয়নি। যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। অথবা যারা শুনে শুনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জেনেছেন তারাই এসব কথা বলছেন। অথচ জিয়াউর রহমানের লাশ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে রাখা হয়েছিল। মরদেহ সবাই দেখার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল। লাশ দাফনের সময় মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সেনাপ্রধান, তৎকালীন সেনাপ্রধান, বিমান বাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধানসহ সকল সেক্টর কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
Leave a reply