গারদখানা থেকে আদালতকক্ষে নেয়ার সময় টাকা ফেরত দিতে চান কিনা, যমুনা নিউজের এমন প্রশ্নের জবাবে ইভ্যালির সিইও রাসেল জবাব দেন, তিনি টাকা ফেরত দিতে চান।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রিমান্ড শেষে আদালতে নেয়ার সময় হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়ে এমন জবাব দেন রাসেল। এরপর আদালতে তোলা হলে তার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডের আবেদন বাতিল করে তিন কার্যদিবস তথা আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তবে রাসেলের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ মন্তব্য করেছেন, মামলা দিয়ে সমস্যা সমাধান হয় না। জামিনে বের হয়ে আসলেই সমস্যার সমাধান হবে। অন্যদিকে রাসেলের মুক্তির দাবিতে বিচারিক আদালতের সামনে বিক্ষোভ করছেন গ্রাহকরা। শেষে রাসেলকে আদালতে আনার খবরে সেখানে জড়ো হয়েছে বিপুল গ্রাহক। তারা টাকা ফেরত পেতে রাসেলের মুক্তি দাবি করেন। বিক্ষোভরত জনতা বলেন, রাসেল জেলে থাকলে তারা পাওনা আদায় করতে পারবেন না। তাই টাকা ফেরত দেয়ার জন্য তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি তাদের।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশও করেছেন গ্রাহকরা।
এর আগে, ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামের এক ভুক্তভোগী মামলার আবেদন করেন ইভ্যালির বিরুদ্ধে সকালে মামলাটি রুজু হয়। মামলার আবেদনে ভুক্তভোগী জানান, গত জুন মাসে কয়েক দফায় পণ্যের কার্যাদেশ দিয়ে সব মূল্য পরিশোধ করা হয়। সাত থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও তিন মাসেও তা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে ইভ্যালি অফিসে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা দুর্ব্যবহার করেন বলেও আবেদনে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
Leave a reply