মোবাইল ফোনে আসক্তি থাকায় বকাবকি করেছিল মা। সে কারণে অভিমানে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করলো দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। মরদেহের পাশে পাওয়া গেছে সুইসাইড নোট। সেখানে মায়ের প্রতি অভিমানের কথা লিখেছে কিশোরী।
হুগলি জেলার পান্ডুয়ার শ্রীপালা গ্রামের বাসিন্দা রুবি খাতুন কলকাতার একবালপুরে খালার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো। স্কুল বন্ধ থাকায় গত দেড় বছর যাবত পান্ডুয়ার বাড়িতেই ছিল ওই ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রুবির কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন তার মা সাবিনা খাতুন। প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে মেঝেতে রুবির অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে পান্ডুয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়।
রুবির মা সাবিনা বলেন, মেয়ে কলকাতার স্কুলের পড়ত। তাই অনলাইনেই ক্লাস হতো। সব সময় মোবাইল ঘাঁটতো। নিষেধ করলে শুনতো না। তাই বকাবকি করতাম। কয়েক দিন আগে থেকে আমার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেয়।’’
সাবিনা আরও বলেন, বুধবার রাত নয়টার দিকে খেয়ে ঘুমাতে যাই। সকালে মেয়ে দেরিতেই ওঠে। কিন্তু সকাল ১০টা বেজে যাওয়ার পরেও না ওঠায় ডাকাডাকি করি। না খোলায় দরজা ভাঙা হয়। তার পরেই এই দৃশ্য দেখি।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে ছিল তখনই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করে রুবি। দরজা-জানলা বন্ধ থাকায় কেউ টের পায়নি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
Leave a reply