জরুরি কাজ করছেন, এমন সময় যদি স্মার্টফোনটি হ্যাং করে তাহলে কি ফোনটি ছুঁড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে করে? অথবা ভারী কোনো গেইম কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করলে ফোনই আর কাজই করে না? এক-একটা অ্যাপ খুলতে দীর্ঘ সময় লাগে। কখন এবং কীভাবে ফোন আবার স্বাভাবিক হবে, আপনিও জানেন না। এমন অবস্থায় কয়েকটি সহজ বিষয়ের দিকে নজর রাখলেই মোবাইলটি আর হ্যাং করবে না।
যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে:
১. ব়্যামের দিকে খেয়াল রাখুন: ব়্যাম মেমোরি কম হলেই সাধারণত স্মার্টফোন হ্যাং করে। তাই ফোন কেনার আগে দেখে নিন ব়্যাম বেশি কি না। আর যদি আপনার বর্তমান মোবাইলটির ব়্যাম কম হয়, তাহলে বেশি কোয়ালেটির ভিডিও কিংবা গেইম ডাউনলোড না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। একই সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে যে অ্যাপগুলি চলতে থাকে, তা বন্ধ করে দিন। তাহলে অনেক দ্রুত চলবে আপনার ফোন।
২. টাস্ক ম্যানেজার: আপনার অজান্তেই ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে একাধিক অ্যাপ। যাতে মোবাইল হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এক্ষেত্রে টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে সেই অ্যাপগুলি বন্ধ করে দিন।
৩. লাইভ ওয়ালপেপার: ৩ডি ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে ভালোবাসেন? এ ধরনের ওয়ালপেপার মোবাইল থেকে ঝটপট ডিলিট করে ফেলুন। এসব ওয়ালপেপার স্টোরেজ যেমন বেশি নেয়, তেমনি ব্যাটারিও দ্রুত কমে যায়।
৪. ইন্টারনাল মেমোরি: ফোন মেমোরি অতিরিক্ত ব্যবহার করলেও স্মার্টফোন হ্যাং হয়। তাই এক্সটারনাল স্টোরেজের অপশন থাকলে সেটি ব্যবহার করুন। মাঝে মধ্যে সেটিংস থেকে ইন্টারনাল মেমোরির ক্য়াশ পরিষ্কার করে ফেলুন।
৫. মাল্টিটাস্কিং: ব়্যাম কম থাকলে একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার না করাই ভাল। পাশাপাশি মোবাইলে আলাদা করে ডাউনলোড করা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
Leave a reply