প্রেম, প্রণয় বিয়ে। সম্পর্কটা ৮ বছরের। লন্ডন থেকে শুধু প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাচ্ছে শুনে দেশে ফিরেন এমরান হোসেন মুন্না। খুব জাকজমকভাবে বিয়েও হয় মুন্না ও উষার। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে সুখের দেখা মেলেনি তাদের। স্ত্রীর পরকীয়ার প্রমাণও পান মুন্না। বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। পরিবারের অভিযোগ স্ত্রীর উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা ও পরকীয়া সম্পর্কের ফলাফল মুন্নার আত্মহত্যা।
৮ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুন্না আর উষার। লন্ডন থেকে দেশে ফিরে পরিবারের কিছুটা অমত থাকলেও ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মুন্না ও উষা। তারপর এক বছর না যেতেই তাদের দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে অশান্তি। স্ত্রী উষা ঢাকায় পড়াশুনার সুবাদে জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়। নানাভাবে চেষ্টা করেও স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক থেকে ফেরাতে না পেরে অবশেষে ক্ষোভে-অভিমানে আত্মহত্যা করে এমরান হোসেন মুন্না (২৯)।
গত বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর বারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী সৈয়দা সাজিয়া শারমিন উষার (২৮) বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা মো. মতিউর রহমান।
নিহত মুন্নার পরিবারের অভিযোগ, ঊষা ঢাকায় সোহেল নামে এক ছেলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মুন্নাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতেন। চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারার অজুহাতে মরে যাওয়ার কথা বলে কটাক্ষ করতেন। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মুন্না। গত বুধবার তিনি আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিয়ে স্ত্রীকে ছবি পাঠান এবং মেসেজ করেন। কিন্তু স্ত্রী কর্ণপাত করেননি। কাউকে জানাননি। বরং উল্টো উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন। এতে মুন্না ক্ষোভে নিজের শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের লোকজন আওয়াজ পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান মুন্না।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম বলেন, পরিবার আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এটা প্রমাণ সাপেক্ষ বিষয়। কেনো তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত বলা যাবে না।
Leave a reply