নরসিংদীতে মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায় অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ। ময়নাতদন্ত শেষে কবরস্থান কিংবা রেললাইনের পাশে দাফন করা হয় নাম-ঠিকানাবিহীন এসব মরদেহ। পরিচয় নিশ্চিত করতে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংরক্ষণ ও ডিএনএ প্রোফাইলিং করে রাখা হয়। ছবি পাঠানো হয় দেশের সব থানাগুলোতেও।
পুলিশের তথ্য বলছে, চলতি বছর নরসিংদীতে এ পর্যন্ত নাম-পরিচয়বিহীন মরদেহ মিলেছে ৫৮ জনের। এর মধ্যে এখনও নাম-পরিচয় জানা যায়নি ৩৭ জনের। অজ্ঞাত পরিচয় এসব মরদেহ দাফন করা হয় শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডের পাশের কবরস্থান আর রেললাইনের পাশে। দীর্ঘদিন পর মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হলেও প্রিয়জনের শেষ স্মৃতিচিহ্নটুকু দেখার সুযোগ পান না স্বজনরা। এ নিয়ে কষ্ট আছে বেওয়ারিশ মরদেহ দাফনকারী আব্দুল লতিফেরও। আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি যমুনা নিউজকে জানালেন সে কথা।
বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হওয়াদের পরিচয় যেন পরে স্বজনরা পেতে পারে সেজন্য ডিএনএ প্রোফাইলের ব্যবস্থা নেয়া হয়। ময়নাতদন্তের পর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ল্যাবে। এসব নমুনা সংরক্ষিতই থাকে বলে জানালেন সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীম।
কিন্তু কবর সংরক্ষণের বিষয়ে সদুত্তর মেলেনি পুলিশের কাছে। তবে, বেওয়ারিশ মরদেহের নাম-পরিচয় খুঁজে পেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী সচেষ্ট বলে জানালেন কর্মকর্তারা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর বলেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন তদন্ত বিভাগ তাদের সহায়তা করে। এছাড়া বেওয়ারিশ লাশ মিললে লাশের ছবিসহ অন্যান্য তথ্য সারাদেশের থানাগুলোতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
তবে কিছু কিছু মরদেহ বছরের পর বছর ধরে অজ্ঞাতই থেকে যায়। আর এর ফলে অজনা থেকে যায় অনেক মৃত্যুর রহস্য।
Leave a reply