ইতালি জাতীয় দল ও এসি মিলানের হয়ে খেলা সেজারে মালদিনির নাম শুনেননি এমন ফুটবল ভক্ত খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সেজারের কথা না শুনলেও তারই সন্তান, এসি মিলান ও ইতালিয়ান রক্ষণদুর্গ সামলানো পাওলো মালদিনির নামতো অবশ্যই শোনার কথা। পিতা-পুত্রের পথ ধরে এবার সেজারের নাতি ও পাওলোর ছেলে দানিয়েল মালদিনিও খেললেন এসি মিলানের মূল দলে।
এ মৌসুমেই এসি মিলানের যুব দল থেকে মূল দলে এসেছেন দানিয়েল। গতকাল সিরি আ’তে স্পেৎসিয়ার বিপক্ষে অভিষেকও হয়ে যায় দানিয়েলের। পিতা পাওলো স্টেডিয়ামে বসে দেখলেন ছেলেকে, ছেলেও হতাশ করেনি। রাঙিয়ে নিলেন নিজের অভিষেকের দিনটা, করলেন দুর্দান্ত এক গোল। তার দল মিলানও ম্যাচটি জিতেছে ২-১ গোলে।
অভিষেকের দিন তার গোলেই লিড নেয় এসি মিলান। ৪৮ মিনিটে পিয়েরে কালুলুর ক্রসে মাথা ছুঁয়ে বল জালে পাঠান দানিয়েল। ছেলের প্রথম গোলের পর চেয়ার ছেড়ে উঠে যান পাওলো, প্রকাশ করেন উচ্ছ্বাস।
দানিয়েলের দাদা সেজারে মিলানের হয়ে খেলেছিলেন ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত। এসি মিলানের হয়ে ৪১২টি ম্যাচ খেলে লিগ জিতেছেন চারবার। তার অবসরের পর এসি মিলানের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন ছেলে পাওলো মালদিনি। ৯০২টি ম্যাচ খেলে মিলানকে এনে দিয়েছেন ৫টি ইউরোপিয়ান কাপ/উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ও ৭টি সিরি আ শিরোপা। ২০০৬ সালে ইতালিকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর ২০০৯ সালে মিলানের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেন পাওলো।
তাদের রেখে যাওয়া ‘ল্যাগেসি’ ধরে রাখতে ইতালির ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটিতে নাম লেখান পাওলোর ছেলে দানিয়েল। তবে বাপ-দাদা দুইজনই ডিফেন্ডার হিসেবে খেললেও দানিয়েল খেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে। তবুও যুগের পর যুগ ধরে মালিদিনি পরিবার এসি মিলানকে নিজের মাঝে ধারণ করছে, ক্লাবটিকে নিজের সেরাটা দিয়ে যাচ্ছে, যা ফুটবল ভক্তদের জন্য একইসাথে বিস্ময়কর ও আবেগপ্রবণ।
Leave a reply