Site icon Jamuna Television

ব্রিটেনে মিথ্যা অভিযোগে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা

ছবি: সংগৃহীত।

ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের বিধি লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগে এক তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন দেশটির পুলিশের একজন কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে ভুয়া ওয়ারেন্ট দেখিয়ে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) লন্ডনের একটি আদালতে এই ধর্ষণ ও হত্যা মামলার শুনানির সময় আইনজীবীরা এসব তথ্য দিয়েছেন।

ফ্রান্স২৪ এর প্রতিবেদনে জানা যায়, করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত ব্রিটেনে গত মার্চে লকডাউন চলাকালীন সারাহ এভারার্ড নামের ওই তরুণীর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা দেশটিতে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে। সারাহর নিখোঁজের ঘটনায় ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। একই সাথে রাস্তায় নারীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

প্রতিবাদের মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিজাত কূটনৈতিক সুরক্ষা শাখায় কর্মরত ৪৮ বছর বয়সী ওয়েন কুজেন্স নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা গত জুলাইয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সারাহকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার কথা স্বীকার করেন।

দক্ষিণ লন্ডনের ক্ল্যাফামে এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় সারাহকে করোনাবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ কর্মকর্তা ওয়েন। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। আলামত ধ্বংস করতে ওই তরুণীর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেহাবশেষ একটি জঙ্গলে ফেলে দেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত মামলার শুনানিতে আইনজীবী টম লিটল বলেন, গত ৩ মার্চ মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ ৩৩ বছর বয়সী সারাহকে টার্গেট করেন ওয়েন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন তিনি।

লন্ডনের আদালতের এই আইনজীবী বলেন, ওই ঘটনার সময় দায়িত্বরত ছিলেন না ওয়েন। তিনি সারাহকে ‘ভুয়া গ্রেফতার’র মাধ্যমে অপহরণ করেন। তাকে হাতকড়া পরিয়ে ওয়োরেন্ট কার্ড দেখান তিনি।

পুলিশের নিরাপত্তা ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, সারাহকে গাড়িতে তুলে নেওয়ার আগে পুলিশ কর্মকর্তা ওয়েন ওয়ারেন্ট কার্ড দেখান এবং হাতকড়া পরান। পাশ দিয়ে গাড়িতে করে চলে যাওয়া এক দম্পতি এ ঘটনা দেখেন। তারা মনে করেছিলেন, আন্ডারকাভার কোনও পুলিশ কর্মকর্তা হয়তো কাউকে গ্রেফতার করছেন।

সারাহর সাবেক একজন প্রেমিক বলেছেন, সারাহ বুদ্ধিমান এবং তার রাস্তায় চলাচলের জ্ঞান ছিল। জোরাজুরি করে অথবা ভুল বুঝিয়ে কোনও অপরিচিত ব্যক্তি তাকে গাড়িতে তুলতে পারতো না।

Exit mobile version