নালায় পড়ে একের পর এক প্রাণহানি, কী বলছে সিডিএ এবং চসিক?

|

নালায় পড়ে ৩ মাসে ৪ জনের প্রাণহানির পর নগর উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিডিএ এবং সিটি কর্পোরেশনের এখন পরস্পরবিরোধী অবস্থানে। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানর ঘটনার দায় চাপাচ্ছেন পরস্পরের ঘাড়ে। সমন্বয়ের পরিবর্তে তাদের বিরোধ বন্দরনগরীতে বাড়াচ্ছে জনদুর্ভোগ।

বিরোধের শুরু মূলত সিডিএর অন্যতম মেগাপ্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা পরিবর্তন নিয়ে। টাইগারপাস থেকে প্রান্ত শুরু করার বিষয়ে মাসদুয়েক আগে আপত্তি জানায় সিটি করপোরেশন। এরপর থেকেই চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে আসছে সংস্থা দুটি।

এরই মধ্যে গত সোমবার রাতে নালায় পড়ে প্রাণ যায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাদিয়ার। এর আগে গত ৩০ জুন চশমাখালে অটোরিকশা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়, আর ২৫ আগস্ট মুরাদপুরে নালায় পড়া সালেহ আহমদ এখনও নিখোঁজ।

৩ মাসে একইভাবে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা চট্টগ্রামের টক অব দ্য টাউন। এখানেও যথারীতি দুসংস্থা দায় চাপাচ্ছে পরস্পরের ঘাড়ে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর অভিযোগের তীর সিডিএর দিকে। তিনিন বলছেন, নিজের দায় অন্যের ওপর চাপিয়ে দিয়ে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা।

অন্যদিকে দায়িত্ব পালনে সিটি কর্পোরেশনের অবহেলাকে দুষছেন সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ। তিনি বলছেন, সিটি কর্পোরেশন তাদের নিয়মিত দায়িত্ব পালন করলে সমস্যাটি সমাধান করা সম্ভব। নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অনেকটা পরিত্যক্ত নগরীর মতো। দেখে মনে হয়, এই নগরীকে দেখার কেউ নেই। এটি কাম্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নগর উন্নয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই সংস্থার এমন পরস্পরবিরোধী অবস্থানে হতাশ চট্টগ্রামের মানুষ। তবে সাধারণ মানুষের দাবি, দ্বন্দ্ব নয়, সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করে জনজীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনুক তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply