পাহাড়ে মাটি খুড়ে পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা

|

মাদক পরিবহনে প্রশাসনের নজর এড়াতে নিত্য নতুন কৌশল আর রুট পরিবর্তনকে বলা হয় এ ব্যবসার প্রধান মূলধন। ইয়াবার উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার থেকে কখনেও সাগর আবার কখনও নৌপথে প্রবেশ করতো ইয়াবা। এবার চোরাচালানে নতুন সংযোজন পাহাড়। ইয়াবার রুট হিসেবে ব্যবহৃত এমন ৬টি পাহাড় চিহ্নিত করেছে র‍্যাব। এ রুটে নেতৃত্বদানকারি ভাই-ভাই গ্রুপের ছোট ভাইকে গ্রেফতারও করেছে তারা।

চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলগুলোর গহীন অরণ্যই এখন ইয়াবা পাচারের অভয়ারণ্য। মিয়ানমার থেকে স্থল পথে মোরং পাহাড় হয়ে বান্দরবানের আলীকদম-থানচিসহ আশপাশের ৬টি পাহাড় এখন মাদক চোরাচালানের নতুন পথ। এমনকি এসব পাহাড়ের মাটি খুড়লেই মিলছে লাখ লাখ ইয়াবা। পাহাড়ের দুর্গম পথ ধরে এসব ইয়াবা চলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। যার নেপথ্যে রয়েছে ‌ভাই-ভাই গ্রুপ। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে মাদক পরিবহন করতে তারা বেছে নিয়েছে পাহাড়ের দুর্গম পথ। র‍্যাব ৭ এর অধিনায়ক লে. র্কনেল এম এ ইউসুফ জানালেন, রাস্তায় বারবার চেকপোস্টের সম্মুখিন হয় বলে তারা দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে আনা নেয়া করে এসব মাদক। নিজেদের লোক ছাড়াও স্থানীয় পাহাড়ি এবং বাঙালিদের মাধ্যমে পরিবহন হয় এসব মাদক।

সাগর, নৌ-পথ কিংবা পাহাড়। মাদক চোরাচালানের রুট পরিবর্তন হলেও বদলায়নি নেপথ্যের মূল হোতারা। ওই র‍্যাব কর্মকর্তা জানালেন, মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা রয়েছে তাদের কাছে। এসব তালিকা ধরে অভিযান চালিয়ে থাকেন তারা।

গোপন খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে বান্দরবানের আলীকদমে অভিযান চালায় র‍্যাব। দুর্গম পাহাড়ের মাটি খুড়ে উদ্ধার করে ৫ লাখ ইয়াবা। ধরা পড়ে ভাই-ভাই গ্রুপের ছোট ভাই মনির। তবে এখনও পলাতক বড় ভাই নূর মোহম্মদ ও মেঝো ভাই নূর নবী।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply