সুনামগঞ্জেও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য

|

সুনামগঞ্জে উঠতি বয়সীদের অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরা ও তাদের দলবদ্ধ হয়ে সংগঠিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ক্রমশ ভীতি ছড়াচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় কথিত গ্যাং কালচারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এসব কিশোররা জীবনের শুরুতেই হামলা-মামলায় জড়িয়ে যাচ্ছে। তবুও নিজেদের ক্ষমতাবান হিসেবে পরিচিত করাতে মরিয়া তারা। সংঘবদ্ধ এসব অপরাধের নেপথ্যের রহস্য উদঘাটনেও হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে।

দিনেদুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের প্রিয়াঙ্গন মার্কেট এলাকায় চলে একটি কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। আলোচিত ওই গ্যাংটির প্রভাব শহরজুড়ে। মোটরসাইকেলে অলিগলিতে ত্রাস ছড়িয়ে বেড়ানো এসব কিশোরের পেছনে ছায়া আছে কথিত বড়ভাইদের।

কিশোর গ্যাংগুলোর ক্ষমতার লড়াইয়ে বলি হচ্ছেন অনেকেই। ব্যবসায়ী নির্যাতনের শিকার হয়েও ভয়ে থানা-পুলিশ করেননি বলেও জানালেন একজন ভুক্তভোগী। শুধু এই ব্যবসায়ী নয়, চলতি বছরের মার্চে সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র অনিক ব্রহ্মের মরদেহ মেলে নির্মাণাধীন আদালত ভবনে। ক্লু-লেস এই মৃত্যুর পেছনে কিশোর গ্যাং জড়িত থাকতে পারে, এমন ধারণা অনিকের পরিচিতজনদের।

তবে কিশোর অপরাধীদের লাগাম টানতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অভিভাবকদেরও করণীয় আছে বলে মনে করেন সুধীজনরা। সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানালেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। উঠতি বয়সীদে দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে এটি কাজ করবে বলেও জানান তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply