চশমা রাখার বাক্সেই মাদক লুকিয়ে রেখেছিলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান! রোববার এনসিবি সূত্রে জানানো হল, শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের কর্ডেলিয়া এমপ্রেস ক্রুজে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় চশমার বাক্স, স্যানিটারি প্যাড ও ওষুধের বাক্সে ও মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
রোববারই মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। তার বিরুদ্ধে মাদক রাখার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সূত্র মারফত খবর পেয়ে যে প্রমোদতরণীতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, সেখানেই উপস্থিত ছিলেন আরিয়ান খান। প্রথমে তাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে এনসিবি। পরে বিকেলে বয়ান রেকর্ডের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ৪ অক্টোবর অবধি এনসিবির হেফাজতেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরিয়ানকে।
তবে একা আরিয়ান খানই নন, গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তানরাও। এরমধ্যে দিল্লির এক বিখ্যাত ব্যবসায়ীর কন্যারাও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আরবাজ মারচেন্ট, মুনমুন ধামেচা, নুপুর সারিকা, ইসমাত সিং, মোহাক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত ছোকর ও গোমিত চোপড়া নামক আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সকলেরই ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, আরিয়ানের চশমার বাক্স থেকে মাদক উদ্ধার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মাদক আইনের ৮সি, ২০বি, ২৭ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই প্রমোদতরণীতে ধরা পড়ার সময় আরিয়ানের কাছে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ও ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ পিলস ছিল।
কর্ডেলিয়া ক্রুজ নামক ওই প্রমোদতরণীতে তিনদিন এক মিউজিক্যাল যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। বলিউড, ফ্যাশন ও বাণিজ্যজগতের সদস্যরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। ক্রে’আর্ক নামক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ফ্যাশনটিভি ইন্ডিয়া। আগামী ৪ অক্টোবর তা গোয়া ঘুরে ফের মুম্বাইতে ফেরত আসার কথা ছিল। কিন্তু ওই প্রমোদতরণী যাত্রা শুরুর আগেই এনসিবির কাছে খবর মেলে, ওই ক্রুজে বিপুল পরিমাণ মাদক মজুত রয়েছে এবং তা সেবন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে, বাজেয়াপ্ত করা মোবাইলের চ্যাট থেকেও মাদকের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিবি সূত্র। জানা গিয়েছে, আরিয়ানের সঙ্গে তার বন্ধু আরবাজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে একাধিকবার মাদকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল আরিয়ান সহ তিনজনের মেডিকেল পরীক্ষা হয়ে যাওয়ায় তাদের আদালতে তোলা হয়েছিল। আজ বাকি ৫ জনকেও আদালতে তোলা হবে।
সূত্রের খবর, এনসিবি মাদকচক্রের মূৃল নেতা ও মাদক সরবরাহকারীদের গ্রেফতার করতে চায়, সেই কারণেই গ্রেফতার ৮ জনের হেফাজতের আবেদন জানাবে তারা। ৮ জনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে শনিবার ওই ক্রুজে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কোকেন, এমডিএমএ, এক্সটেসি সহ একাধিক নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধারের পরই রোববারও মুম্বাইয়ের একাধিক জায়গায় হানা দেয় এনসিবি কর্তারা।
এনএনআর/
Leave a reply