সোমবার নেপালের ত্রিভুবন বিমান বন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের পর প্রথম উদ্ধারকার দলে ছিলেন দেশটির সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পুরান ঘালে। গতকালের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার বিষয়ে নেপালি বিবিসি’র সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পাঠকদের জন্য ওই সাক্ষাৎকারটি ভাষান্তর করে নিম্নে দেওয় হল:
নেপালি বিবিসি: ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আপনি কি দেখে ছিলেন?
পুরান ঘালে: ঘাসের ওপর বিমানটি পুড়ছিল। আগুনটি ছড়িয়ে পড়তে এমনটিই আমরা ভাবছিলাম, এবং আমরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই।
নেপালি বিবিসি: আপনি কীভাবে কাজ করলেন?
পুরান ঘালে: এমন ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবেলায় আমরা প্রায়শই অনুশীলন করে থাকি। এমনকি গত বছর, কৃত্রিমভাবে তৈরি করা বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনায় অনুশীলন করেছিলাম। এ ধরনে অনুশীলন থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা আগুন নেভানো, এবং যাত্রী ও ক্রুদের উদ্ধারের র চেষ্টা করি। আমরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিলাম, এবং বিমানের কেবিন কেটে আরোহীদের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করি। আমার দলটির কাছে ধসে পড়া কাঠামোর নিচ থেকে উদ্ধারে যন্ত্রপাতি ছিল, কিন্তু এরপরও আমাদের উপস্থিত বুদ্ধি খাটাতে হয়েছিল। বিমান বন্দরের অগ্নি নির্বাপণ দলটি ফোম ও অন্যান্য উপকরণ নিয়ে এসেছিল। অ্যাম্বুলেন্স আসতে একটু সময় নিয়েছিল।
নেপালি বিবিসি: উদ্ধার কাজে আপনার দলটি কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল?
পুরান ঘালে: বিমানটি আগুনে ঢেকে গিয়েছিল, এবং ট্যাংক থেকে তেল চুইয়ে পড়ছিল। যাতে আগুন ধরে বিস্ফোরণ না ঘটে সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হয়েছিল। আমাদের কোনো ধরনের যন্ত্র ব্যবহার ছাড়া বিমানের খোলে ঢুকে যাত্রীদের টেনে বের করতে হয়েছিল। পুলিশ আসার পর উদ্ধারকারী দলের সদস্য সংখ্যা বাড়ে, এবং কুঠার ও দড়ির মতো নিত্য ব্যবহার্য জিনিস ব্যবহার করে আমরা যাত্রীদের উদ্ধার করতে থাকি।
নেপালি বিবিসি: এই দুর্ঘটনাকে আপনি কী শিখেছেন?
পুরান ঘালে: আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই বিমান বন্দর এলাকটি পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সব ঘাত ছেঁটে ফেলতে হবে। যদি বিমান প্রকৌশলীরা থাকতেন তবে তারা আমাদের বিমানে প্রবেশে বিষয়ে সঠিক পথটি দেখাতে পারতেন। এক্ষেত্রে আমাদের অনুরোধের পরই তারা ঘটনাস্থলে এসেছিল।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply