নিত্যপণ্যের বাজারে নতুন করে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে পোল্ট্রি খাত। বিভিন্ন ধরনের মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৮০ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সরবরাহের ঘাটতিকে দায়ী করছেন খুচরা বিক্রেতারা। আর খামারিরা বলছেন উৎপাদন খরচ বাড়ায়ই দাম বাড়ছে মুরগির। অন্যদিকে ডিমের দামও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। মুরগি আর ডিমের দাম যেন পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতা করে বেড়ে চলেছে।
ব্রয়লার, লেয়ার, কক, দেশি জাত; সব ধরনের মুরগিরই দাম বেড়েছে। সপ্তাহখানেক আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিলো ১৪০ টাকা। আজকের বাজারে যার দাম দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকা। একই অবস্থা লেয়ারেও। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।
ফার্মের মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে দেশি জাতেরও। এক কেজি আকারের প্রতি পিস মুরগির জন্য গুনতে হবে সাড়ে চারশো টাকা। আর পাকিস্তানি ককের দাম ৩শ থেকে ৩শ ২০ টাকা। তবে খুচরা বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধি কারণ বলে মনে করছেন সরবরাহের ঘাটতিকে।
করোনাকালে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পোল্ট্রি খাত। অনেক খামারিই বাধ্য হয়ে উৎপাদন বন্ধ রেখেছিলেন। অন্যদিকে পোল্ট্রি খাদ্যের দামও বেড়েছে। আর এ কারণেই খামারিরা আগের দামে মুরগি সরবরাহ করতে পারছেন না বলে জানালেন।
আর ডিমের বাজারের অস্থিরতা তো সব শ্রেণির ভোক্তাকেই প্রভাবিত করছে। তবে শীতের শুরুতে বাজারে মুরগি আর ডিমের সরবরাহ বাড়লে মূল্য আবার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা।
Leave a reply