করোনার নমুনা সংগ্রহের প্রায় দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা খুলনা জেনারেল হাসপাতালের এক টেকনোলজিস্ট। প্রায় দুই সপ্তাহেও সন্ধান মেলেনি অভিযুক্ত টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের। থানায় জিডি করেছে সিভিল সার্জন অফিস। বিএমএ বলছে, এতো অর্থ প্রকাশের একার পক্ষে আত্মসাৎ সম্ভব নয়।
গত বছরের ২ জুলাই থেকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে শুরু হয় করোনা পরীক্ষা। নমুনার সংগ্রহ এবং তার টাকা সিভিল সার্জন অফিসে জমা দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস।
সম্প্রতি করোনা টেস্টের সংখ্যার সাথে টাকার গড়মিল ধরা পড়ে। খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করে সিভিল সার্জন অফিস। তাতে প্রায় ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা গায়েবের প্রমাণ মেলে। বিষয়টি লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানোর পর ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে সে লাপাত্তা বলে জানান খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মাদ।
এ ঘটনায় খুলনা সদর থানায় জিডি করেছেন সিভিল সার্জন। তাতে দুদকের সহায়তার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। অন্যদিকে বিএমএ সভাপতির মতে, এতো অর্থ আত্মসাতের দায় এড়াতে পারেন না ঊর্ধ্বতন কর্তারাও। খুলনা জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, টাকাগুলো যথাযথভাবে টাকাগুলো জমা হওয়া নিশ্চিত করা যাদের দায়িত্বে ছিল, ক্যাশিয়ারসহ তারা কোনোভাবেই এই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। তাদের নির্দোষ মনে করা ঠিক হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০১০ সাল থেকে এ পদে কর্মরত ছিলেন প্রকাশ কুমার।
Leave a reply