রাজধানীর সড়কগুলোর উন্নয়ন কাজে অতিষ্ঠ নগরবাসী। দীর্ঘ সময় ধরে একই সড়কে কাজ চলায় কমছে না দুর্ভোগ। এজন্য অপরিকল্পিত উন্নয়নকে দায়ী করছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। আর জনভোগান্তি এড়াতে আইন মেনে কাজ করার পরামর্শ নগর পরিকল্পনাবিদদের।
পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের আগাসাদেক রোড। গত জুন থেকেই খোলা ড্রেনের পরিবর্তে সুয়ারেজ লাইনের কাজ চলছে সড়কের নিচ দিয়ে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কর্মব্যস্ত এলাকাবাসীকে। এছাড়া, পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে আবুল হাসনাত রোড। সেখানেও বসানো হচ্ছে পয়নিষ্কাশন লাইন। যা যানজট বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।
কাজ চলছে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউট হাসপাতালের পেছনের সড়কেও। ধীরগতি দেখা গেছে বঙ্গবাজার মার্কেট রোড সড়ক সংস্কারেও। দিনের বেলায় কাজ চলায় যানজটে নাকাল অফিসগামীরা। তেঁজগাওয়ের প্রায় প্রতিটি সড়কে চলছে উন্নয়ন কাজ। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ চলায় নাগরিক দুর্ভোগ চরমে। আসাদগেটের মতো ব্যস্ততম এলাকায়ও চলছে রাস্তা খনন। যানজট ও জনদুর্ভোগ এড়াতে রাতের বেলায় কাজ করার দাবি নগরবাসীর।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলছেন, পূর্বের অপরিকল্পিত কাজের জের টানতে হচ্ছে কিছুটা। তবে সমন্বয় থাকায় এখন দুর্ভোগের মাত্রা কমেছে বলেও দাবি তার। মন্ত্রী বলেন, যেসব উন্নত দেশের উদাহরণ আমরা দেই, সেসব দেশ একশ-দেড়শ বছর ধরে পরিকল্পনা করে তারপর গড়ে ওঠে। আমাদের শহরগুলো যেহেতু সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তাই এখানে নিয়মিত সংস্কারের প্রয়োজন পড়ে। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব জনদুর্ভোগ কমানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জনভোগান্তি এড়াতে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবীবের পরামর্শ, আইন মেনে উন্নয়ন কাজ পরিচালনার। তিনি বলেন, অপরিকল্পিভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে গিয়ে নগরীকে বেহাল দশায় ফেলাও একটি রাষ্ট্রীয় অপরাধ। বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই এসব প্রকল্প হাতে নেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
টেকসই কাজ না হওয়া আর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাবেই একই রাস্তা প্রতিবছর একই কাজের জন্য খনন করা হয়। আর এতেই বাড়ে দুর্ভোগ, এমনটাই মনে করেন নগরবিদরা।
Leave a reply