৭৫ নারীকে বিয়ে এবং ২০০ নারীকে পাচারের দায়ে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে বাংলাদেশের যশোরের মনিরুল ইসলাম মনিরকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।
বুধবার (৬ অক্টোবর) গুজরাটের সুরাট থেকে ওই বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেফতারকৃত মনিরুল ইসলাম মনির বাংলাদেশের যশোর জেলার বাসিন্দা। ভারতে ২০০ নারীকে পাচারের অভিযোগে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর পুলিশের বিশেষ তদন্ত শাখার সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
মনির স্বীকার করেছে দরিদ্র মেয়েদের বিয়ে করে পাচার করাই ছিল তার পেশা। দু’টি চারটি নয়, মনির বিয়ে করেছে ৭৫টি। নিজের বিয়ে করা স্ত্রীদের অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিয়ে যেত কলকাতায়। তারপর বিক্রি করে দিত ভারতের বিভিন্ন পতিতালয়ে।
ভারতীয় পুলিশ জানতে পেরেছে বাংলাদেশের নারী পাচারের সঙ্গে বিশাল একটি চক্র জড়িত রয়েছে। মনির তাদের একজন। পুলিশ গত ১১ মাসে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১জন বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করেছে। তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে মনিরের নাম। এরপর মধ্য প্রদেশ পুলিশ মনিরের খোঁজে ১০ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। শেষ পর্যন্ত মনির আটক হলো।
মনির পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, বাংলাদেশ থেকে নারীদের ভারতে নেওয়া হতো দালালের মাধ্যমে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে প্রথম তাদের রাখা হতো। এরপর তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হতো কলকাতা, ভোপাল, ইন্দোরসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে। মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ অনেক তথ্য পেয়েছে।
বিজয়নগর পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা তেহজিব কাজী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে জানান, কয়েক দিন আগে সুরাট নিষিদ্ধ পল্লীর এক দালালকে গ্রেফতার করা হয়। তার বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি গেস্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে ২১জন নারীকে উদ্ধার করা হয়। যাদের ১১জনই বাংলাদেশি। এ সময় সেখানে অবস্থান করা মনির পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশ নারী পাচার চক্রের তথ্য জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
Leave a reply