নিরক্ষীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে আঙুর জনপ্রিয় ও সস্তা একটি ফল। সারা বছর মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার মধ্যেই বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এই ফল। খবর দ্য বিজনেস ইনসাইডার।
সহজলভ্য হওয়াতেই আঙুরের বাজারদর নাগালের মধ্যেই থাকে। কিন্তু এই বিশেষ ধরনের আঙুরগুলোর দাম শুনলে যে কেউ আঁতকে উঠবেন। এক একটি বিক্রি হয় ৩৫ হাজার টাকায়!
সচারাচর বাজারে দেখা মেলা কালো আঙুরের মতোই দেখতে এটি। তবে ঠিক কালো নয়, লাল
অংশটাই বেশি থাকে এই আঙুরে। এই আঙুরের নাম রুবি রোমান আঙুর।
শুধু জাপানেই এই আঙুরের চাষ হয়। বিগত কয়েক বছর দামের কারণে বিশ্বের সর্বাধিক মূল্যবান আঙুর হিসাবে উঠে এসেছে এর নাম।
এত দামের কারণ রুবি রোমান আঙুরের বিশেষ কিছু গুণ এবং আকার। ছবিতে সাধারণ আঙুরের মতো দেখালেও এগুলো আকারে অনেক বড়। পিংপং বলের মতো আকার হয় এক একটি আঙুরের।
এই গাছে আঙুর ফলানো খুবই কঠিন। জাপানের ইশিকাওয়াতেই একমাত্র এর চাষ হয়। খুব কম পরিমাণে ফলন হয়। তার মধ্যে আবার সব ফল বিক্রি করা যায় না। দাম দিয়ে কিনে সাধারণ মানুষ যেনো প্রতারিত না হতে হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে জাপান সরকার।
প্রতিটি আঙুরের গুণগত মাণ বিচার করা হয়। সেগুলির স্বাদেও যাতে কোনওরকম ঘাটতি না হয়, সে দিকেও বিশেষ খেয়াল থাকে বিশেষজ্ঞদের।
একটি ডালে যতগুলো আঙুর থাকে তার সবগুলোর গুণগত মান পর্যাপ্ত না থাকলে সেসব বাদ দেওয়া হয়। ফলে যে পরিমাণ ফলন হয় তা সব বিক্রি করা যায় না।
১৪ বছর ধরে জমি তৈরি করার পর জাপানে এই আঙুরের চাষ সম্ভব হয়েছে। প্রতি বছর মাত্র ২৪ হাজার আঙুরের থোকা ফলানো সম্ভব হয়। এর মধ্যে যে আঙুরগুলওর গুণগত মান ঠিক থাকে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়। এরপর সেগুলোই শুধু বিক্রি করা যায়।
২০২০ এ মাত্র একটি আঙুরের থোকা বিক্রি করতে পেরেছিলেন এর মালিক। সেই থোকা নিলাম বিক্রি হয়েছিল ১২ হাজার অ্যামেরিকান ডলারে যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। সেই অনুযায়ী প্রতিটি আঙুরের দাম ছিল ৪০০ ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ছিল ৩৫ হাজার টাকা।
Leave a reply