ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমাতে যা করবেন

|

ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমাতে যা করবেন

ছবি: সংগৃহীত

কর্মব্যস্ত জীবনে ব্যায়াম না করা, অস্বাস্থ্য খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদির ফলে ক্রমেই বেড়ে যায় ওজন। এতেই অনকে ভাবেন খাওয়া কমিয়ে দিয়ে ওজন কমাবেন। তাতে ওজন তো কমছেই না, উল্টো আপনি হয়ে পড়ছেন দুর্বল, মনোযোগ হারাচ্ছেন কাজে। ওজন কমানোর জন্য একেবারে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে না দিয়ে (ক্রাশ ডায়েট) কিংবা জিমে গিয়ে হঠাৎ ঘাম ঝরাতে শুরু না করে বরং অল্প অল্প করে খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনে পরিবর্তন আনুন। আসুন জেনে নেই ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমাতে কী করতে হবে-

* জুস নয়, গোটা ফল খান: ফলের রস বা জুস আমাদের পক্ষে স্বাস্থ্যকর তবে আপনি যদি গোটা ফল চিবিয়ে খান তবে তা আরও ভালো। অতি অবশ্যই প্যাকেটজাত জুস এড়িয়ে চলুন। চিনি মেশানো প্যাকেট ফলের রসের চেয়ে গোটা ফল খাওয়া বেশি উপকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এটি ক্যালরি গ্রহণ কমিয়ে দেয় এবং অপ্রয়োজনীয় ওজন বাড়ায়

* প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন: দোকান থেকে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার কিনতে গেলে বা প্যাকেটজাত খাবার কিনে খাওয়া বন্ধ করুন।

* অতিরিক্ত নয়, পরিমিত খান: খেতে বসে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার অভ্যাস থাকলে তা আস্তে আস্তে পরিহার করুন। অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস হয়ে গেলে কখন খিদে পাচ্ছে, কতটা খাওয়া প্রয়োজন এই অনুভূতিটাই চলে যায়। বেশি খাওয়া মানেই লবন, চিনি বেশি মাত্রায় খাওয়া। এখান থেকে হরমোনের তারতম্য হয়। অতিরিক্ত খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণ মেদ জমে। বেশি খাওয়া মানেই বেশি ক্যালোরি জমা হওয়া। আর পরপর খাবার খেতেই থাকলে সেই ক্যালোরি বার্ন হয় না। ফলে শরীরে হতে থাকে ফ্যাটের স্তর। যেখান থেকে ওবেসিটি আসতে বাধ্য।

* অস্বাস্থ্যকর খাবারকে না বলুন: বাইরের মুখরোচক খাবার খেতে ভালো লাগলেও পরিহার করতে হবে। পিৎজা, বার্গার এমনকি বিরিয়ানির মতো খাবার খেলে হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটির সমস্যা ইত্যাদির মুখোমুখি হতে পারেন। আর এসব খাবার থেকে গৃহীত ফ্যাট সহজে বার্ন করা যায় না। বেশি খেলেই হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়। তাই লোভকে সংবরণ করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবারে মনোযোগী হন।

* বেশি করে পানি পান করুন: ওজন কমাতে চাইলে পানি পানের বিকল্প নেই। পানি শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। প্রতিবার দুই গ্লাস করে পানি পান করলে মেটাবলিজম রেট ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়। প্রতিদিন যদি দুই লিটার পানি পান করা যায়, তবে ২০০০০ ক্যালোরি বার্ন হতে থাকবে।

* খাবারে দারুচিনি ব্যবহার করুন: রুটি, সিরিয়াল এবং অন্যান্য স্টার্চ জাতীয় খাবারে যদি সামান্য পরিমানে দারুচিনি দেওয়া যায় তবে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধা বোধ করবেন না।

* ঘুমে মন দিন: ঘুম ঠিক না থাকলে ওজন বেড়ে যাবে হু হু করে। ‘আমেরিকান জার্নাল অব হেলথ প্রমোশনের গবেষণা অনুযায়ী, যারা প্রতি রাতে সাড়ে ছয় ঘণ্টা থেকে সাড়ে আট ঘণ্টা ঘুমান, তাদের দেহে একেবারেই চর্বি জমে না। তাই ঘুমের বিষয়টাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।

* সবজি খান: ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার হলো সবজি। সারাদিনের খাবারে পুষ্টি পূরণ করবে। এতে খুব অল্প পরিমাণে ক্যালরি ও ফ্যাট আছে। তাই ভাত বা মাংস খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সবজি যোগ করুন।

* কিছুক্ষণ পর পর খান: ওজন হ্রাস একদম খাওয়া বন্ধ করে দেবেন না। এর পরিবর্তে কিছুক্ষণ পর পর খান। আপনি অহেতুক ক্ষুধা বোধ করবেন না এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ক্যালোরিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

* গ্রিন টি: যদি ডায়েট ছাড়া ওজন কমাতে চান তবে গ্রিন টি পান করুন। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরে মেদ কাটাতে সাহায্য করবে।

এনএনআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply