করোনাকালে বাগেরহাটে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বাল্যবিয়ে। জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে, জেলায় ৩ হাজার ২শ ২ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বেশি বাল্যবিয়ে হয়েছে কচুয়া উপজেলায়। এর পরের অবস্থানেই বাগেরহাট সদর উপজেলা। নাগরিক সমাজ বলছে, বাল্যবিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৫৫ জনের ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকারী ছিল তানিয়া। চোখজুড়ে স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে হবে চিকিৎসক। তবে সেই স্বপ্ন আর তার মাঝে এখন পাহাড়সমান বাঁধা। করোনার মধ্যে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কিশোরী তানিয়ার কাঁধে এখন সংসারের বোঝা। তেমনি একজন হালিমা। করোনাকালের অনিশ্চয়তায় বাল্যবিয়ের শিকার সেও। বিয়ের তিন মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে ফিরতে হয়েছে বাবার বাড়িতে।
জেলার নয় উপজেলার জেলার ৫ হাজার ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়েছে ৩ হাজার ২শ ২ জন ছাত্রী। সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ে হয়েছে কচুয়া, সদর আর চিতলমারীতে।
গ্রাম্য ইমাম বা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে অনেকের বয়স লুকিয়ে বিয়ে হচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন জেলা বিবাহ রেজিস্ট্রার মুনিরুল হাসান।
তবে সমস্যা সমাধানে অচিরেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাদ দিলেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান।
Leave a reply